অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইলের সফল পরীক্ষা করল ভারত বুধবার, জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউ দিল্লি: অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে পরীক্ষা করেছে ভারত। বুধবার দেশবাসীর উদ্দেশে তা নিয়েই একটি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভাষণের অব্যবহিত পরেই বিরোধী দলগুলি একের পর এক আক্রমণ করা শানানো শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, সীমাহীন নাটক চলছে। আর, সেটা করছে এমনই একটি সরকার যাদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-কে শুভেচ্ছা জানান। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ‘বিশ্ব নাটক দিবস'-এর জন্য অভিনন্দন জানান তিনি।
বুধবার সকালে ‘মিশন শক্তি'-র সফল সূচনা সম্বন্ধে দেশবাসীকে জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর ভারতই হল চতুর্থ দেশ যারা অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে পরীক্ষা করল।
বিরোধীদের দাবি, লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার ঠিক দু'সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ ঘোষণা আসলে রাজনৈতিক ফায়দা কুড়োনোর লক্ষ্যেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া মডেল কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে তিনি কমিশনকে চিঠি লিখবেন।
যদিও, বৈজ্ঞানিকদের শুভেচ্ছা জানালেন মমতা। তিনি বলেন, “মহাকাশ নিয়ে এই সাফল্য আসলে বৈজ্ঞানিকদের দীর্ঘ গবেষণার জন্য পাওয়া। নরেন্দ্র মোদী তো সবকিছুর জন্যই নিজে কৃতিত্ব নিয়ে নেন। এক্ষেত্রেও সেটাই করেছেন। অথচ, তাঁর কৃতিত্ব দেওয়া উচিত ছিল সেইসব বৈজ্ঞানিক এবং গবেষকদের যাঁদের জন্য এই সাফল্য এল”।
উত্তরপ্রদেশ থেকে একইরকম আরেকটি টুইট করেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
তাঁর জোটশরিক বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতীও এই অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল প্রকল্পটি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছেন নরেন্দ্র মোদী, এই কথা বলে সরব হন।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধের সময় এই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল শত্রুপক্ষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পুরো পঙ্গু করে দিতে পারে। একেবারে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে শত্রুপক্ষের গোটা সেনাকে।