গত মাসেই পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতের মিরাজ ২০০০ বিমান জইশ ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়।
নিউ দিল্লি: পাকিস্তান প্রতিবারের মতো এইবারেও সেই একই চিত্রনাট্য মেনে প্রতিক্রিয়া দিল। যে প্রতিক্রিয়ার মূল ভিত্তিই হল- 'অস্বীকার'। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের আত্মঘাতী হানার পর ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের শহিদ হওয়া নিয়ে পাকিস্তান যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই কথা জানাল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। প্রসঙ্গত, ইসলামাবাদ জানিয়ে দিয়েছে যে, পুলওয়ামা হানার সঙ্গে পাকিস্তানের যে কোনও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বা যোগাযোগ রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের, তার কোনও প্রমাণ নেই। দেড় মাস আগের সেই হানার পর পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিকমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ- সকলেরই চাপ ছিল। মাসুদ আজহারকে 'গ্লোবাল টেররিস্ট' ঘোষণা করার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে আমেরিকা, ফ্রান্স সহ অন্যান্য দেশ সায় দিলেও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসে পাকিস্তানের চিরকালীন 'বন্ধু' হিসেবে পরিচিত চিন।
'মিশন শক্তি' নিয়ে রাহুলের খোঁচার তীব্র জবাব মোদীর
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, "সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চল জুড়ে জইশ-ই-মহম্মদের কার্যকলাপ এবং পুলওয়ামার ওই ভাবহয় হানার সঙ্গেও এই জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেওয়ার পরেও, যে প্রতিক্রিয়া পাকিস্তান দিয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। পাক ভূখণ্ড থেকে যে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলে, তার প্রমাণও ভারত দিয়েছে। শুধু এইবারে নয়। একাধিকবার। তারপরেও এই প্রতিক্রিয়া আমাদের নিরাশ করেছে"।
একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "২০০৪ সালে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পাকিস্তান, তা ওদের নিজেদের মেনে চলা উচিত। ওরা নিজেরাই তা বারেবারে লঙ্ঘন করেছে। ওদের বর্তমান নেতৃত্বও ২০০৪ সালের ওই চুক্তির পুননর্বীকরণ করেছে। যে, কোনওভাবেই পাকিস্তানের মাটি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কোনওরকম সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার স্বার্থেই ওদের অবিলম্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওরা উচিত বলে মনে করে ভারত"।