This Article is From Nov 13, 2019

রবীন্দ্র সরোবরের দূষণে, পর্ষদের রিপোর্টে অসঙ্গতি বললেন পরিবেশবিদ

পরিবেশবিদ এস এম ঘোষ অভিযোগ করেছেন ছট পুজোর দিন পুণ্যার্থীরা রবীন্দ্র সরোবরের যেটিকে "ছোট লেক" বলা হয় সেই দিক দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন।

রবীন্দ্র সরোবরের দূষণে, পর্ষদের রিপোর্টে অসঙ্গতি বললেন পরিবেশবিদ

রবীন্দ্র সরোবরের দূষণে, পর্ষদের রিপোর্টে অসঙ্গতি বললেন পরিবেশবিদ

কলকাতা:

ছটপুজোর (Chhath) পরে রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra Sarobar) জল দূষিত (Pollution) হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, ছটপুজো পরবর্তী রবীন্দ্র সরোবরের জলে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। জানানো হয়, ২ ও তেসরা নভেম্বর সরোবর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ওই দু'দিনই উৎসব পালন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই নমুনায় কলিফর্ম লেভেল (মানুষ ও পশুর বর্জ্যে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া) সীমার মধ্যেই রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ওই দু'দিন জলে প্রাপ্ত কলিফর্মের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৩০০ এমডিএন (প্রতি ১০০ এমএলে) এবং ১৩০০ এমডিএন।''
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ এস এম ঘোষ। তিনি বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরে বলেছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে রিপোর্ট দিয়েছে তা সঠিক নয়। 

পরিবেশবিদ এস এম ঘোষের দাবি দেশের সর্বত্রই ন্যাশনাল পার্ক  কনজারভেশন প্ল্যানমাফিক একটি প্যারামিটার আছে। যাতে যে কোনও রিপোর্ট তৈরি করার সময় উল্লেখ করতে হয় যে, কোনও জলাশয়ের পাড়ের কত দূর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তা করা হয় নি কেন? পাশাপাশি জলে টোটাল সাসপেন্ডেড সলিড কত আছে  প্রতি লিটারে তারও উল্লেখ নেই রিপোর্টে এবং টোটাল ডিসলভড সাবস্ট্যানসেসর উল্লেখ থাকে এইধরনের রিপোর্টে।কিন্তু এক্ষেত্রে রিপোর্টে এগুলির কেন উল্লেখ নেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

পরিবেশবিদ এস এম ঘোষ অভিযোগ করেছেন লেক গার্ডেন্স থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত যে এলাকায় ছট পুজোর দিন সব থেকে বেশি পুণ্যার্থীরা ছিলেন এবং তারাই রবীন্দ্র সরোবরের যেটিকে "ছোট লেক" বলা হয় সেই দিক দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। অথচ নমুনা সংগ্রহ করা হয় নি সেখান থেকে । বদলে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বুদ্ধমন্দির থেকে বেঙ্গল রোয়িং ক্লাব সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবর থেকেই । যাকে বলা হয় "বড় লেক"। অথচ ওই জায়গায় কোনও ছট পুজোই হয় না। রবীন্দ্রসরোবর লেকটি আসলে ৯২ একর জায়গা জুড়ে এবং সাধারণত দেখা যায় যেখানে ছট পুজো হয়েছে তার ৪০০ মিটারের মধ্যেই যে আবর্জনা দূষণ এর কথা বলা হচ্ছে সেগুলি রয়েছে। অথচ রিপোর্টে কতটা দূর থেকে বা কতটা অংশ জুড়ে এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার কোন উল্লেখ নেই। অভিযোগ করেছেন পরিবেশবিদ এস এম ঘোষ।

যেহেতু এই পুরো বিষয়টি সাধারণ মানুষের জন্য, জনস্বার্থে সেই কারণে যেকোনও রিপোর্ট তৈরি করার পর একটি পাবলিক নোটিফিকেশন করতে হয়।যা এক্ষেত্রে করা হয়নি এবং রবীন্দ্র সরোবর লেকেও এই নোটিশ দিতে হয় যা কিন্তু বাস্তবে হয়নি অভিযোগ পরিবেশবিদের।

এমাসের শুরুতে রবীন্দ্র সরোবর চত্বরে জোর করে প্রবেশ করে হাজার হাজার মানুষ। গেটের তালা ভেঙে ছট পালন করতে তাঁরা উপস্থিত হন সরোবরে।পরের দিনই এক কচ্ছপ ভেসে উঠতে দেখা যায় সরোবরের জলে। সেই সঙ্গে মরা মাছও। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।

.