This Article is From Aug 02, 2019

ব্যর্থ অযোধ্যা মধ্যস্থতা, ৬ অগাস্ট থেকে দৈনিক শুনানি শুরু, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Ayodhya case: সূত্র বলছে, অযোধ্যার জমি জট কাটাতে ৩ সদস্যের যে প্যানেল গঠন করা হয়েছিল তাঁরা বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতে পৌঁছনোর অনেক চেষ্টা করেছে

ব্যর্থ অযোধ্যা মধ্যস্থতা, ৬ অগাস্ট থেকে দৈনিক শুনানি শুরু, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

গত বছর শীর্ষ আদালতের তরফে বহু দশকের অযোধ্যা সমস্যার সমাধানে একটি মধ্যস্থতাকারী প্যানেল গঠন করা হয়

হাইলাইটস

  • অযোধ্যা বিতর্কে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট পর্যালোচনায় শীর্ষ আদালত
  • শুক্রবার এই রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট
  • গত বছর এই মধ্যস্থতাকারী প্যানেল গঠিত হয়েছিল
নিউ দিল্লি:

মধ্যস্থতাকারীরাও আপাত ভাবে ব্যর্থ হলেন অযোধ্যা সমস্যার সমাধান করতে। বৃহস্পতিবারই অযোধ্যা (Ayodhya) নিয়ে মধ্যস্থতাকারীরা তাঁদের  রিপোর্ট  জমা দেন শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে যে অযোধ্যার জমি জম কাটাতে ব্যর্থ হয়েছে মধ্যস্থতা কমিটি। এরপরেই শীর্ষ আদালত সিদ্ধান্ত নেয় যে আগামী ৬ অগাস্ট থেকে অযোধ্যা মামলার দৈনিক ভিত্তিতে শুনানি হবে। "আমরা রিপোর্ট পেয়েছি এবং অনুধাবন করেছি যে এই মধ্যস্থতার ফলে কোনও ধরণের নিষ্পত্তিই হয়নি, তাই আমাদের এ বিষয়ে ৬ অগাস্ট থেকে শুনানি শুরু করতে হবে," শুক্রবার মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগোই। এর আগে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গত ১৮ জুলাই তিন সদস্যের মধ্যস্থতাকারী প্যানেলকে জানায়, ১ অগস্ট আদালতকে মধ্যস্থতার পদক্ষেপের বিষয়ে জানানোর জন্য। ওই প্যানেলের নেতৃত্বে প্রাক্তন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এফএম কালিফুল্লা। বৃহস্পতিবারই প্যানেলের তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। রিপোর্টটি সিল করা আবরণের ভিতরে ছিল। 

এক সপ্তাহের মধ্যেই জম্মু কাশ্মীরে অতিরিক্ত ২৫,০০০ সেনা মোতায়েন করল কেন্দ্রীয় সরকার

গত বছর শীর্ষ আদালতের তরফে বহু দশকের অযোধ্যা সমস্যার সমাধানে একটি মধ্যস্থতাকারী প্যানেল গঠন করা হয়। দীর্ঘকালীন এই সমস্যার বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান খুঁজতে আলোচনার মাধ্যমে কোনও রাস্তা বের করাই এই প্যানেলের কাজ। প্যানেলের বাকি দুই সদস্য হলেন আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু।

জল সংরক্ষণে নাগরিক সমাজকে ভুমিকা গ্রহণের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

ষোড়শ শতকে ন‌ির্মিত বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালে ভেঙে দেয় হিন্দু আন্দোলকারীরা, যাঁদের বিশ্বাস রামের জন্মস্থান অযোধ্যায় নির্মিত একটি প্রাচীন রাম মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপরে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছে। ওই মসজিদ ভাঙার পরে সারা দেশজুড়ে শুরু হয় সাম্প্রদায়িক হানাহানি। প্রায় ২,০০০ মানুষ মারা যান।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট রায় দেয়, অযোধ্যার এই বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সমান তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লাল্লাকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে চোদ্দোটি আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে।

বেঞ্চের তরফে এর সমাধানে মধ্যস্থতার কথা বলা হলেও তা মানতে নারাজ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখড়া। কিন্তু তবু বিচারপতিরা সম্পর্কের উন্নতি কামনা করে মধ্যস্থতার দিকে এগোনোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বেঞ্চ জানিয়েছেন, ‘‘এটা কেবল সম্পত্তির বিষয় নয়। এটা মন, হৃদয় এবং সুস্থতার বিষয়, যদি সম্ভব হয়।''

এই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও যে বিচারপতিরা রয়েছেন তাঁরা হলেন এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আবদুল নাজির।

.