ওরা প্রত্যেককে গ্রেফতার করে একটা কলঙ্ক লাগানোর খেলায় মত্ত হয়ে উঠেছে, বলেন পার্থ
কলকাতা: তাঁর সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। সেই শ্রীকান্ত মোহতাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করল সিবিআই। তারপরই কেন্দ্র তথা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হল, নরেন্দ্র মোদীর রাজত্বকালে হেনস্তার হাত থেকে বাঁচবেন না কেউই। শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সখ্য'র কথা মাথায় রেখে শাসক দলের কাছ থেকে এই গ্রেফতারির ব্যাপারে ব্যাখা চেয়েছিল রাজ্যের তিন বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওরা প্রত্যেককে গ্রেফতার করে একটা কলঙ্ক লাগানোর খেলায় মত্ত হয়ে উঠেছে। লেখক, শিল্পী, অভিনেতা কাউকে ছাড়ছে না। প্রত্যেককে অপমানজনকভাবে অপদস্থ করছে। এর উত্তর দেবে মানুষই”।
চিটফান্ড দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার শ্রীকান্ত মোহতা
তাঁর কথায়, সিবিআই আসলে বিজেপিরই বর্ধিত দলীয় অফিস হয়ে উঠেছে এখন।
এর উত্তরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁদের আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। সিবিআই তো নিজের কাজ করছে। কাউকে গ্রেফতার করা হলেই তৃণমূল আর কিছু না পেয়ে কেবল রাজনৈতিক চক্রান্তের কথা বলে যায়”।
বাংলা, অন্ধ্রে একা লড়ার ভাবনা কংগ্রেসের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও শ্রীকান্ত মোহতার গ্রেফতারির বিষয়ে রাজ্যের শাসক দলের কাছ থেকে ব্যাখা চেয়েছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা বলে শ্রীকান্ত মোহতা এতদিন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াত”।
মুখ খুলেছেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর কথায়, “কী আর বলব বলুন তো? এই ঘটনা থেকে তো একটা বিষয় পরিষ্কার। ঠিক কী ধরনের লোকের সঙ্গে তৃণমূল নেতারা সম্পর্ক রেখে চলেন”।