তৃণমূল কংগ্রেসের 'দিদিকে বলো'র অনুকরণে এই 'বিজেপিকে বলো'। অভিযোগ করেছে শাসক দল।
হাইলাইটস
- পুরভোটের আগে 'বিজেপিকে বলো' জনসংযোগ কর্মসূচি গেরুয়া শিবিরের
- তৃণমূল কংগ্রেসকে অনুকরণ করে এই প্রচার অভিযান, অভিযোগ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
- মাস দুয়েক পরেই রাজ্যে পুর ভোট, তার আগে নাগরিকদের সমস্যা শুনতে চায় বিজেপি
কলকাতা: লোকসভা ভোটে হতাশাজনক ফলের পর জনসংযোগে জোর দিয়েছিল তৃনমূল কংগ্রেস বা টিএমসি (TMC) । নাগরিকদের অসুবিধার কথা তুলে ধরতে "দিদিকে বলো" কর্মসূচি চালু করেছিল টিএমসি। সেই কর্মসূচিতে সায় ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার পুর ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে 'বিজেপিকে বলো' কর্মসূচি (BJP ke Bolo) নিচ্ছে গেরুয়া শিবির (BJP)। যদিও অভিযোগ 'দিদিকে বলো'র অনুকরণে বিজেপির এই কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে নাগরিক সমাজ তাঁদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, সমস্যা বিজেপিকে জানাতে পারবে। নেতৃত্ব সেই সমস্যা সুর করতে সক্রিয় হবে। এমনটাই দাবি করেছে রাজ্য বিজেপি।
বরফ গলার ইঙ্গিত দিয়ে রাজ ভবনে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক
রাজ্য বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, প্রথমে একটা পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হবে। যে প্রজেক্টে রাজ্যের ১০৭টি পুরসভার নাগরিকদের থেকে সমস্যা জানবেন বিজেপি কমীরা। তারপর একটা কেন্দ্রীয় টোল-ফ্রি নাম্বার চালু করা হবে। সেই নেতার দাবি, "নাগরিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়লে দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।" গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর এই বিজেপিকে বলো কর্মসূচি দলের দ্বিতীয় জনসংযোগ অনুষ্ঠান।এর আগে দিলীপ দা'র সঙ্গে চা-চক্র নামক একটা কর্মসূচি চালু করেছিল বিজেপি। লোকসভা ভোটের পর চালু করা হয়েছিল এই কর্মসূচি।
মালদহে নির্মীয়মাণ সেতু বিপর্যয়, রাজনৈতিক তরজায় TMC-BJP
এদিকে বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জননেতা নেই। তাই এই কর্মসূচি কার্যকরী হবে না। তৃণমূল কংগ্রেসকে অনুকরণ করে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ওদের করতে দিন। জানা গিয়েছে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের প্রায় ১০৭টি পুরসভা ও পুরনিগম গুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের সেমি-ফাইনাল, বলছেন বিশ্লেষকরা। তাই লোকসভা ভোটের সাফল্য এই ভোটগুলোকে জিইয়ে রাখতে 'বিজেপিকে বলো'র ডাক দিতে চলেছে বিজেপি।