ভরা গ্রীষ্মের দাবদাহে অস্থির প্রায় গোটা দেশ। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে অত্যধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতা। সকাল থেকেই গরমে নাকাল শহরবাসী। এই ক'দিন বেলা একটু গড়ালেই রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা থাকছে। সব মিলিয়ে গরমের দাপট অব্যাহত। কেবল কলকাতা নয়, দেশের অন্যান্য প্রান্তেও একই ভাবে চুটিয়ে ব্যাট করছে গরম। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে গতকালের তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি ব্রহ্মপুরী ও অমরাবতীতে তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪৭.৫ ও ৪৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে শুরু করে অন্যত্রও একই ছবি। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানেও তাপমাত্রার পারদ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪৭ ডিগ্রির অঙ্ক। বিশেষ করে রাজস্থানের জয়সলমির, চুরু, শ্রীগঙ্গানগরে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। নয়াদিল্লিতেও তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৪ ডিগ্রিতে।
কলকাতায় সেই তুলনায় পারদ অতটা উপরে না উঠলেও আপেক্ষিক আর্দ্রতার সঙ্গে তাপমাত্রার পার্টনারশিপে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। চড়চড়ে রোদে প্যাচপ্যাচে ঘামে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। চিকিৎসকেরা খুব প্রয়োজন না পড়লে বেলা বারোটা থেকে বিকেল পর্যন্ত বাইরে বেরতে মানা করছেন। সেই সঙ্গে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। গরমে শরীরের অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। তাই বেশ করে জল খেলে শরীরের কোষ সজীব থাকবে। সেই সঙ্গে স্যালাড ও ফলমূল বেশি করে খেতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি চিজ, তেল-মশলা, ভাজাভুজি খেতেও নিষেধ করছেন তাঁরা। এছাড়া হালকা রংয়ের পোশাক পরলেও গরম কম লাগবে।
রোদে রাস্তায় বেরনোও সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে খুব দরকার না থাকলে বেলা গড়ালে বিকেল পর্যন্ত বাড়ি বা অফিসেই থাকুন। আর যদি বেরোতেই হয়, তাহলে রোদচশমা, সানস্ক্রিন ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।