এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে 28 অগস্ট।
নিউ দিল্লি: যার নামে অপরাধের পূর্ব রেকর্ড রয়েছে, সে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না- শীর্ষক যে মতামতটি দেয় সুপ্রিম কোর্ট, তা নিয়ে আপত্তি জানাল খোদ কেন্দ্র। তারা এই কথাও স্মরণ করিয়ে দিল যে, ‘সংবিধানের এক্তিয়ারের বাইরের কোনও এলাকা’তে যদি আদালত হস্তক্ষেপ করতে চায়, তবে তার পরিণতি হবে গুরুতর। “আমরা কি নির্বাচন কমিশনের হাতে এমন একটি ক্ষমতা তুলে দিতে পারি, যে ক্ষমতার বলে, অপরাধের পূর্ব রেকর্ড আছে, এমন কাউকে প্রার্থীপদে দাঁড় করালে কোনও রাজনৈতিক দলের চিহ্ন বাতিল করে দিতে পারবে তারা”?- সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে আসা এই প্রশ্নতেই খড়্গহস্ত হয় কেন্দ্র। তারা এর প্রতিক্রিয়ায় জানায়, “সেটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধির। আদালতের নয়”। কেন্দ্রীয় কৌঁসুলী আরও বলেন যে, “এটা অসাংবিধানিক এবং এর ফলে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে”।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, যদি কোনও অপরাধী নির্বাচনী লড়াইতে দাঁড়ায়, তাহলে তাকে দলের চিহ্ন দেওয়া হবে না।
এর জবাবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে কার? নির্বাচিত প্রতিনিধির নাকি পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের”? তিনি আরও বলেন, “আদালত এমন একটি বিষয়ের মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে যা তার এক্তিয়ারের বাইরে।
“আদালতকে বাস্তবটা ভালো করে বুঝতে হবে। একটি নির্বাচনী কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া অর্থের মাত্রা এই দেশের অন্যতম বড় রসিকতা। এক একটা কেন্দ্রে প্রার্থীরা এখন কম করেও ত্রিশ কোটি টাকা করে খরচা করে”, বলেন বেণুগোপাল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রাও বিমত পোষণ করেন প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সঙ্গে। তিনি বলেন, “বহু রাজনৈতিক মামলা এখনও ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে আদালতে। লাল ফিতের ফাঁসে আটকে রয়েছে সেগুলি। তাই যাই হোক না কেন, আগে কেউ দোষী সাব্যস্ত হোক, তারপরই এই নিয়ে কথা বলা উচিত”।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে 28 অগস্ট।