৩৯ মিনিটে অ্যাম্বুল্যান্স পেরোয় ৩৩ কিমি, যা পেরোতে সাধারণত ঘণ্টাখানেক লাগে।
লখনউ: সোমবার সন্ধেয় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজধানী লখনউয়ের (Lucknow) ছয় লেনের লোহিয়া পথের একটি দিক পুরো খালি করে দেওয়া হল। সন্ধে ৬টা থেকে ৭টা ওই পথ ফাঁকা রাখা হল। প্রসঙ্গত, ওই রাস্তার খুব কাছেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ি। অন্যদিন ওই রাস্তায় ওই সময়ে ট্র্যাফিকের খুবই চাপ থাকে। কিন্তু সোমবার ছিল একেবারে ফাঁকা। আসলে ওই সময় ওখান দিয়েই নিয়ে যাওয়া হয় উন্নাও কাণ্ডের নিগৃহীতাকে। লখনউ থেকে তাকে দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমস (AIIMS)-এ নিয়ে আসা হয় সোমবার সন্ধেয়। তিন ঘণ্টারও কম সময়ে তাকে লখনউ থেকে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গ্রিন করিডর তৈরি করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, অঙ্গ সংস্থাপনের জন্যই গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়। তবে চিকিৎসক ও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এটা ব্যতিক্রম।
উন্নাও কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত কুলদীপের বাড়ি সিবিআই হানা
সাংবাদিকদের তোলা ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে, লোহিয়া পথে একটি পুলিশের গাড়ি দেখা যাচ্ছে। সেই গাড়ি ক্রমাগত সাইরেন বাজাচ্ছিল। অ্যাম্বুল্যান্সটি ও তার পিছনে তিনটি গাড়ি এরপর ওই পথ দিয়ে যায়। লখনউয়ের ট্রমা সেন্টার, যেখানে চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোরী, সেখান থেকে ৬.২৪ মিনিটে যাত্রা শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স। লখনউ বিমানবন্দরে সেটি পৌঁছয় ৭.০৩ মিনিটে। ওই ৩৯ মিনিটে সেটি পেরোয় ৩৩ কিমি, যা পেরোতে সাধারণত ঘণ্টাখানেক লাগে।
লখনউ পুলিশ যারা ওই গ্রিন করিডর তৈরি করেছিল, তারা জানায়, ২২টি গুরুত্বপূর্ণ ট্র্যাফিক সীমান্ত পেরোতে হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সটিকে। ১২ জন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক ও ১৪২ জন পুলিশ কনস্টেবল ওই পথকে ট্র্যাফিক জট থেকে মুক্ত রেখেছিল।
ওই পথই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথ ছিল, তা নয়। কিন্তু ওই পথটি ছিল সবচেয়ে ভাল রাস্তা। এরপর মেয়েটিকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লি নিয়ে আসা হয়।
রাত ৯টায় দিল্লি এসে পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। এইমসে সেটি পৌঁছয় ৯.১৮-তে। সেজন্য ১৮ মিনিটে ১৫ কিমি রাস্তা পেরোতে হয় তাদের। এখানেও লখনউয়ের মতো গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে একই ভাবে নিগৃহীতার আইনজীবীকেও নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে।
কয়েক দিন আগে ওই নিগৃহীতা ও তার আইনজীবী এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হন। মারা যান তার দুই আত্মীয়া। একটি গাড়িতে করে যাওয়ার সময় একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মারলে ওই ঘটনা ঘটে। গাড়ির নম্বরপ্লেটটি কালো রঙে ঢাকা ছিল। দুর্ঘটনায় নিগৃহীতার দুই কাকিমা মারা যান। তাঁদের মধ্যে একজন ওই ধর্ষণ মামলার সাক্ষী। ওই দুর্ঘটনার পিছনে প্রধান চক্রী মনে করা হচ্ছে অভিযুক্ত কুলদীপকেই।