কলকাতা: আজ, শুক্রবার, এই রাজ্যে বিজেপিকে হাইকোর্টের 'রথযাত্রা'র অনুমতি দেওয়ার রায়টির বিরুদ্ধে আপিল করতে আদালতে যেতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য তপোব্রত চক্রবর্তী বিজেপিকে এই রাজ্যে রথযাত্রা করার যে অনুমতি দিয়েছেন, তাঁর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের কাছে আপিল করবে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, এই বিতর্কিত রায়টি দেওয়ার সময় তপোব্রত চক্রবর্তী বলেছিলেন, রথযাত্রা যে যে জেলা দিয়ে যাবে, সেই জেলাগুলিতে প্রবেশ করার ১২ ঘন্টা আগে সংশ্লিষ্ট জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশকে পুরো যাত্রা সম্বন্ধে জানাতে হবে। এছাড়া, বিচারপতি বিজেপিকে আইন মেনে এবং যানজট সৃষ্টি না করে রথযাত্রার অনুমতি দেন। এই যাত্রার সময় কোনও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটলে যে তার জন্য দায়ী থাকবে বিজেপি, সে কথাও স্পষ্ট করে দেন প্রধান বিচারপতি। এই রায়ে স্পষ্টতই খুশি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই রথযাত্রার দিনক্ষণ ঠিক করতে আরম্ভ করে দিয়েছে।
বিজেপিকে রথযাত্রা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নির্দেশ রাজ্যকে
"আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আমাদের তরফ থেকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হবে না", জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দল ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৪২'টি লোকসভা কেন্দ্রে রথযাত্রা যত দ্রুত সম্ভব করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বরের বিজেপির রথযাত্রা কলকাতা হাইকোর্টে তার আগের দিনের রায়েই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল।
বিজেপির রথযাত্রা বাতিলের কথা মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানাচ্ছেন না কেন? প্রশ্ন সূর্যর
কয়েক মাস ধরেই রথযাত্রা বা গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা করার কথা বলছে গেরুয়া শিবির। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয় ডিসেম্বর মাসের গোড়া থেকে তিন দিন যাত্রা হবে। পরে দিন বদলায়। শেষমেশ রথযাত্রাই বাতিল হয়ে যায়। তারপর থেকে শুরু হয়েছে মামলা। প্রথমে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করে বিজেপি। রায়ে খুশি না হয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য বিজেপি। দুই বিচারপতি সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতির সঙ্গে একমত পোষণ করেননি। তাঁরা বলেন রথযাত্রা নিয়ে সমাধান সূত্র বের করতে দু'পক্ষ আলোচনায় বসুক। সেই আলোচনার পর রাজ্য প্রশাসন জানিয়ে দেয় রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)