বছরের শেষদিন টুইট করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস
নয়াদিল্লি: বছরের শেষদিন টুইট করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করল কংগ্রেস। আর্থিক বৃদ্ধি, বেকারত্ব, পরিবেশ সংরক্ষণ আর ইন্টারনেট ব্যবহারে কোপ-এই বিষয়ে সরকারি ভূমিকার সমালোচনা করে মঙ্গলবার টুইট করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। হ্যাশট্যাগ দশকটি, যেমন ছিল (#TheDecadeThatWas) ব্যানারে ইউপিএ আমলের সঙ্গে বর্তমান এনডিএ সরকারের কিছু জায়গায় তুলনা টেনে করা হয় টুইটটি। হিন্দি আর ইংলিশে লেখা এই টুইটে বার্ষিক বেকারত্বের হার, প্লাষ্টিক উৎপাদন, ভূগর্ভের জলস্তর নেমে যাওয়া আর সাইবার-ক্রাইমের আধিক্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে তুলোধোনা করা হয়েছে।
ওই টুইটে বলা, যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার এখন মৌলিক চাহিদা, সেখানে সরকার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গেল কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ। প্রথমে কাশ্মীর, তারপর উত্তর-পূর্ব। এভাবে কি মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে পারবে কেন্দ্র? এমন প্রশ্নও ওই টুইটে করা হয়েছে! গত ৫ অগাস্ট থেকে উপত্যকায় বন্ধ ইন্টারনেট। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে, সে রাজ্য থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে তাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। ভারতীয় সংসদের এই সিদ্ধান্তের জেরে যাতে কাশ্মীর রক্তাক্ত না হয়, সেটা বিবেচনা করেই ওই সিদ্ধান্ত, জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও চলছে।
ইতিমধ্যে সিএএ আন্দোলনের পথে নেমেছে মানুষ। সতর্কতা বজায়ে, এই আন্দোলন দমনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে দেশের একাধিক বড় শহরের ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এদিন কংগ্রেসের টুইটে এই বিষয়গুলির সমালোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের পরিসর না বাড়িয়ে উল্টে কেন্দ্রের কিছু সিদ্ধান্ত দেশে বেকারত্ব বাড়িয়েছে, টুইটে দাবি করেছে কংগ্রেস। ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্ব সূচক, তারপরেও ছাত্র-যুবদের কণ্ঠরোধের চেষ্টায় বিজেপি, বলে কটাক্ষ করেছে ওই দল।২০১০ সালে বেকারত্ব সূচক ২ ছিল, কিন্তু চলতি বছরের হিসেবে তা ৬.১ হয়েছে, দাবি কংগ্রেসের।অনেক সমীক্ষার প্রসঙ্গ তুলে ধরে কংগ্রেস বলেছে, জলস্তর ক্রমশ কমছে, তাও হুঁশ নেই সরকারের। নেই কোনও উদ্যোগ।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গোটা বিশ্ব চিন্তিত। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন না, এটা কোনও ইস্যুই, কটাক্ষ কংগ্রেসের।