This Article is From Jan 01, 2020

সিএএ লাগু হচ্ছেই, বিলোপের প্রশ্নই নেই: রবিশঙ্কর প্রসাদ

আর সংবিধানের (Constitution) ২৫৬ ধারা বলছে রাজ্য সেই আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য।

সিএএ লাগু হচ্ছেই, বিলোপের প্রশ্নই নেই: রবিশঙ্কর প্রসাদ

এই ধরণের প্রস্তাব পাশ সংবিধান-বিরোধী বলেও এদিন সতর্ক করলেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

নয়াদিল্লি:

সিএএ (CAA) গোটা দেশে লাগু হচ্ছেই। পিছু হটার প্রশ্ন নেই। বুধবার স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। সম্প্রতি কেরালা বিধানসভা একটা প্রস্তাব এনেছে, সে রাজ্যে সিএএ লাগু করা হবে না। অবিলম্বে কেন্দ্র এই আইন বিলোপ করুক, বলেছে তারা। যদিও, এই ধরণের প্রস্তাব পাশ সংবিধান-বিরোধী বলেও এদিন সতর্ক করলেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট করেন, "আমরা দেখছি ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য অনেক রাজ্য সরকার এই আইনের বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন। ওরা বলছেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সিএএ লাগু করবেন না। কিন্তু আমি ওদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারা একটু আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিন।  সংবিধানের ২৪৫ আর ২৫৬ ধারা বলছে সংসদের পূর্ণ অধিকার আছে নাগরিকত্ব বিষয়ক আইন পাস করার। আর সংবিধানের (Constitution) ২৫৬ ধারা বলছে রাজ্য সেই আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য।'       

ইন্ডিয়া গেটে জমায়েত শতাধিক, ভারতে নাগরিত্ব আইন বয়কটের শপথ

তিনি বলেছেন, "এটা সম্পূর্ণরুপে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা। সংসদের দুই কক্ষে আলোচনা করে এই বিল পাস করানো হয়েছে। যা এখন আইনে পরিণত। ফলে এটা লাগু হবেই। আমরা যখন (সরকার) সংবিধানের নামে শপথ নিই, তখন আমরা সেই শপথ পূরণে দায়বদ্ধ"। যদিও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলো বলছে, আমরা এই আইন লাগু করব না, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবধি অপেক্ষা করব। সিএএ, এই প্রথম দেশে নাগরিকত্ব প্রমাণ নেবে। সরকারি সূত্র বলছে, এই আইনের জেরে পড়শি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলো থেকে ধর্মের কারণে ভারতে আসা সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু বিরোধীরা বলছে, এই আইন মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আর সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। 


(PTI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে)

.