আর ৭৩ দিনের মধ্যে ব্রিটেনের ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা
হাইলাইটস
- ব্রেক্সিট নিয়ে বছর দুয়েক আগে গণভোট হয়েছিল ব্রিটেনে
- ৭৩ দিনের মধ্যে ব্রিটেনের ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা
- এবার বিট্রেনের সংসদে বড়সড় ধাক্কা খেল সেই প্রস্তাব
লন্ডন: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে বছর দুয়েক আগে গণভোট হয়েছিল ব্রিটেনে। রায় গিয়েছিল ব্রেক্সিট বা প্রস্থানের পক্ষে। ঠিক হয়েছিল ধীরে ধীরে প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই মতো আর ৭৩ দিনের মধ্যে ব্রিটেনের ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এবার বিট্রেনের সংসদে ধাক্কা খেল সেই প্রস্তাব। ৪৩২ জন সাংসদই ভোট দিলেন প্রস্তাবের বিপক্ষে। বিষয়টি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র পক্ষে ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। গত দুবছর ধরে প্রস্তাবিত প্রস্থান নিয়েই সক্রিয় ছিলেন তিনি। আর তাঁর এই পরাজয়ের পর মার্চ মাসের ২৯ তারিখ আদৌ ব্রিটেন ইউনিয়ন ছাড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা গেল।
ভোট চলার সময় হাউজ অফ কমনস-এ কার্যত একা পড়ে যান টেরেসা। তাঁর দলের সাংসদরাও তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। এই পরাজয়ের পর আস্থা ভোট হবে ব্রিটেনে। মানে এবার সরকার টিকিয়ে রাখার পরীক্ষার সামনে পড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ সংসদ বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু এদিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে তার উদাহরণ খুব একটা বেশি নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের অনেকেই। ইতিহাস ঘেঁটে অনেকেই ১৯ শতকের একটি ঘটনার কথা বলছেন। সেবার প্রধানমন্ত্রী উলিয়াম গ্লাডস্টোনকেও আয়ারল্যান্ড সংক্রান্ত একটি ব্যাপারে এভাবেই হারতে হয়েছিল। বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ঐতিহাসিক লুকে ব্লাক্সিল। তিনি বলেন সংসদে যা হয়েছে তা মনে রাখার মতো। ব্রিটিশ সংসদে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের লড়াই হয়। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয় না। পরাজয়কে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিরোধী দলনেতা জেরেমি করবিন। পাশাপাশি লেবার পার্টির এই দলনেতা অনাস্থা প্রস্তাবও আনেন। তা নিয়ে বুধবারই সংসদে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)