সমালোচকদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানান আদনান সামি।
হাইলাইটস
- আদনান সামির পদ্মশ্রী প্রাপ্তির সংবাদে অনেকেই সমালোচনা করেন
- সমালোচকদের ক্ষমা করে দেওয়ার কথা জানালেন তারকা গায়ক
- ২০১৬ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পান আদনান সামি
সদ্য পদ্মশ্রী পাওয়া গায়ক আদনান সামি তাঁর পদ্মশ্রী প্রাপ্তির সমালোচকদের কটাক্ষ করে জানালেন, যাঁরা সমালোচনা করছেন তাঁরা ‘বেচারা'। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে এই কথা জানা গিয়েছে। ৪৬ বছরের জনপ্রিয় গায়ক জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সমালোচকদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত গায়ক আদনান সামির পদ্মসম্মান প্রাপ্তিতে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। সমালোচনা করেছেন বহু অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। পাকিস্তানের বায়ুসেনার পাইলটের পুত্র আদনান সামি ২০১৫ সালে আবেদন করার পর ২০১৬ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পান। তাঁর নতুন গান ‘তু ইয়াদ আয়া'-র লঞ্চের ফাঁকেই সমালোচকদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য রাখেন তিনি।
ওয়েবসাইট থেকে বেমালুম হাওয়া অসম NRC-র যাবতীয় তথ্য! প্রযুক্তিগত সমস্যা দর্শাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে তিনি বলেন, ‘‘ঠিক আছে, ওঁদের ভাল লাগেনি বিষয়টা। আমি ওঁদের ক্ষমা করে দিয়েছি। ওঁরা ‘বেচারা'। এবং আমি আশা করি ওঁরা এর থেকে শিক্ষা নেবেন। যদি কয়েকজন মুষ্টিমেয় মানুষ এটা পছন্দ না করেন, তাতে কিছু এসে যায় না। কেননা ১৩০ কোটি মানুষ এই সিদ্ধান্তকে পছন্দ করেচেন। সুতরাং, ওঁরা কে? ওঁদের একপাশে সরিয়ে রাখা উচিত।''
"ভারত সফরের অপেক্ষায় রয়েছি": মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
পদ্মশ্রী প্রাপক সামি জানাচ্ছেন, এই পুরস্কার প্রাপ্তি তাঁকে তাঁর শিল্প, অনুরাগী এবং দেশের প্রতি আরও দায়বদ্ধ করে তুলেছে। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘এটা সত্যিই মূল্যবান। আমি মনে করি পদ্মশ্রীর মতো সম্মানপ্রাপ্তি দায়িত্বও বাড়িয়ে দেয়। এখন, আমি অত্যন্ত দায়বদ্ধতা অনুভব করছি আরও ভাল করার।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আমি যে ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য এই সম্মান পেলাম তা হল শিল্পসঙ্গীত। আমি আমার অনুরাগী ও দেশের প্রতি আরও দায়বদ্ধতা অনুভব করছি আমার পেশার মধ্যে দিয়ে, যা হল সঙ্গীত। সুতরাং সাধারণভাবে একজন দায়িত্ববান নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি আমার দায়িত্ব হল নিজের পেশায় সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারকে নিশ্চিত করা।''
আদনান সামি একজন জনপ্রিয় সুরকার। ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার বহু আগে থেকেই তিনি এদেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ‘নো টাইম ফর লাভ' (২০০৫), ‘ধামাল' (২০০৭) প্রভৃতি ছবিতে সুরকারের কাজ করেছেন তিনি। ‘কভি তো নজর মিলাও' ও ‘মুঝকো ভি তো লিফট করা দে' তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় দু'টি গান।
(তথ্য সহায়তা: আইএএনএস)