2019'এর লোকসভা নির্বাচনে যে মানুষ তাঁদের পক্ষেই থাকবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত আনন্দ শর্মা
নিউ দিল্লি:
নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রীত্বের চার বছরের মেয়াদের কাজের খতিয়ানের উপর ভিত্তি করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী রিপোর্ট কার্ড বানানোর কয়েকদিন বাদেই মুখ খুললেন আরেক কংগ্রেস নেতা। যদি বিজেপির নেতারা মনে করেন যে ভারতের সমস্ত উন্নতিই হয়েছে 2014 সালে তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর তাহলে তাঁদের মনোবিদের সাহায্য নেওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, শেষ চার বছরেই ভারত একটি ‘বিশাল দেশ’এ পরিণত হয়েছে, ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়। ভারত বিজেপি আসার অনেক আগে থেকেই এক বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবেই পরিচিত ছিল।
“জিডিপি 2 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ছিল 2014’র আগে। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের মতো প্রতিষ্ঠান মোদিজি ক্ষমতায় আসার অনেক আগে থেকেই এই দেশে ছিল। ভারতের প্রথম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’ উৎক্ষেপণ করা হয় 1975 সালে। তাই তাঁরা যদি এখন দাবি করতে থাকেন যে, তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে এই দেশে কিছুই হয়নি, তাহলে আমি বলব তাঁদের অবিলম্বে মনোবিদের সাহায্য নেওয়া উচিত”, এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান আনন্দ শর্মা।
শাসনের মেয়াদের চার বছর পূর্ণ হওয়ার পর বিজেপি বলেছিল তাদের সরকার সংবেদনশীল এবং উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন নরেন্দ্র মোদির আমলে তুষ্ট করার রাজনীতি, রাজবংশ শাসিত রাজনীতি, বর্ণবাদের রাজনীতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি উন্নয়নের রাজনীতির সূচনা করেছেন এই দেশে, বলেন অমিত শাহ।