সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অন্তত ১১ জন পুলিশকর্মী আহত হন। (ফাইল)
হাইলাইটস
- হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন গোকুলপুরীর পুলিশের এসিপি অনুজ কুমার
- তিনি প্রতিবাদীদের ছোঁড়া পাথরে আহত হয়েছিলেন
- তিনি জানাচ্ছেন, কখনই প্রতিবাদীদের আহত করার পরিকল্পনা ছিল না তাঁদের
নয়াদিল্লি: উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে চলতে থাকা হিংসায় (Delhi Clashes) আহত হয়েছিলেন গোকুলপুরীর (Gokulpuri) পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অনুজ কুমার। তিনি জানাচ্ছেন, জায়গাটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা বাড়িঘর, দোকানপাট, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছিল এবং পাথর ছুঁড়ছিল। কিন্তু পুলিশ সংখ্যায় অনেক কম ছিল। হাসপাতাল থেকে দু'দিন আগে ছাড়া পেয়েছেন অনুজ। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের জানানো হয়েছিল গাজিয়াবাদের কাছে সেতুর সংযোগকারী রাস্তাটি যেন আটক অবস্থায় না থাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে জমায়েত হওয়া লোকজনের সংখ্যা বাড়তে লাগল। স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে ওরা প্রায় ২০,০০০-২৫,০০০ জন ছিল। আমরা ছিলাম ২০০। আমরা ওদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে কথা বলছিলাম। জানিয়েছিলাম, প্রধান রাস্তাটা ছেড়ে দিয়ে অন্য রাস্তাটা অবরোধ করুক। কিন্তু ততক্ষণে গুজব ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে, কিছু মহিলা ও শিশু পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘সেতুর কাছেই নির্মাণ কাজ চলছিল। ফলে ইঁট ও পাথরের টুকরো পড়েছিল সেখানে। প্রতিবাদীরা সেগুলি তুলে ছুঁড়তে শুরু করে। আমরা আহত হই। এমনকী, ডিসিপিও। উনি প্রচণ্ড রক্তাক্ত হয়েছিলেন।''
অফিসটাইমে দিল্লির রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে "গোলি মারো..." স্লোগান! আটক ছয়!
প্রসঙ্গত, এই সংঘর্ষের সময়ই দু'দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরে অনুজ কুমার আরও বলেন, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলেও তা সহজ ছিল না। কেননা প্রতিবাদীদের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব ছিল অনেকটাই।
তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমার লক্ষ্য ছিল প্রথমে ডিসিপিকে উদ্ধার করা, কারণ উনি প্রচণ্ড রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু আমরা কোনও প্রতিবাদীকেই আহত করতে চাইনি।''
গোকুলপুরীতে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় হেড কনস্টেবল রতন লালের মৃত্যু হয়। অনুজ ও ডিসিপি ছাড়াও গুরুতর আহত হন অমিত শর্মা ও শাহদারা নামের দুই পুলিশ কর্মী। তাঁরা সকলেই প্রতিবাদীদের ছোঁড়া পাথরে আহত হন।
দিল্লির ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে জোর করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করা ফয়জানের মৃত্যু!
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে রবিবার থেকে শুরু হওয়া সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২০০-রও বেশি। দুষ্কৃতীরা বহু বাড়ি, দোকান, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও পেট্রোল পাম্পেও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ কর্মীদের প্রতি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা দু'টি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে তদন্তের জন্য।
এই হিংসায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁদ বাগ, জাফরাবাদ, মৌজপুর, বাবরপুর, যমুনা বিহার, ভজনপুরা, শিব বিহার।