কানেক্টিকাটের চার্চ থেকে হাজার হাজার ডলার মূল্যের সামগ্রী চুরি করেছে ওই চোর
ইউএসএ: চুরি চুরি! তোমার মন নাই চোর?
মন আছে, আছে বলেই না চুরি করার পরে আবেগ মাখা ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে যায় চোর! এমনই ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ওই শহরের একটি গির্জা ভেঙ্গে হাজার হাজার ডলার মূল্যের সরঞ্জাম চুরি করে পালানোর সময় দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি লিখে গেছেন। দুঃখ প্রকাশের সাথে তিনি চার্চ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধও করে গিয়েছেন যাতে তাঁরা ওই ব্যক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের ওয়াটারবারি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মাউন্ট অলিভ এএমই সিয়োন চার্চ থেকে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নানান ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিয়ে পালাচ্ছে। ফক্স নিউজ জানিয়েছে যে, চার্চ থেকে সরঞ্জাম নিয়ে পালাবার আগে খুবই ‘দুঃখ’ পায় ওই চোর, দুঃখের আবেগ সামলাতে না পেরে হাতে লেখা একটি চিঠি রেখে যায় সেখানে। "প্রার্থনা করো আমার জন্য!! আমি সত্যিই দুঃখিত। আমাকে রক্ষা করুন।" লিখেই ক্ষান্ত হননি, চিঠির উপর দুঃখ মুখের ছোট্ট ছবিও এঁকে দিয়েছেন চোর বাবাজি!
চার্চের মিডিয়া মন্ত্রণালয়ের প্রধান জ্যাকলিন ডেভিসের মতে, 4,000 ডলার মূল্যের (ভারতীয় মূল্য 2.7 লক্ষ টাকা) অডিও এবং ভিডিও সরঞ্জাম চার্চ থেকে চুরি হয়ে গেছে।
রোববার রাত্রি 1 টা নাগাদ ঘটে এই চুরিএ ঘটনাটি। পুলিশ দুই দিন আগেই সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ্যে আনে। পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের আর্জিও জানিয়েছে।
নীচের ভিডিওটি দেখুন:
ফেসবুকে পোস্ট করা এই ভিডিওটি প্রায় 200 বার শেয়ার করা হয়েছে এবং 6,000 এরও বেশি মানুষ দেখেছেন এই ভিডিওটি।
চোরের ক্ষমা চেয়ে লেখা ওই চিঠিটির ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেছে হার্টফোর্ড নিউজ। হার্টফোর্ড নিউজের মতে, রোববার সকালে চিঠির অনুরোধ অনুসারে চার্চের মন্ত্রী ওই চোরের জন্য প্রার্থনাও করেছিলেন।
চুরি করে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে যাওয়ার ঘটনা কিন্তু এই প্রথমবার নয়। জুলাই মাসে, কেরলার একটি পরিবার থেকে সোনার গয়না চুরি করে দু’দিন পরে সেসব ফিরিয়ে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে চোর একটি চিঠি দিয়ে যায় তাঁদের। সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রেস্টুরেন্টে টাকা ফেরত দিয়ে গেছেন তাঁদেরই এক পুরনো কর্মী, যিনি প্রায় এক যুগ আগে ওই রেস্টুরেন্ট থেকে টাকা চুরি করেছিলেন। এক্ষেত্রেও ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে গেছিলেন ওই কর্মী।
Click for more
trending news