This Article is From Aug 24, 2018

এটা গণতন্ত্রের জয়, এটা মানুষের জয় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘গণতন্ত্র ও মানুষের জয়’ বলে অভিহিত করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এটা গণতন্ত্রের জয়, এটা মানুষের জয় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা:

বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘গণতন্ত্র ও মানুষের জয়’ বলে অভিহিত করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, মিথ্যে প্রচার করে রাজ্যের নাম ‘কলুষিত’ করার জন্য বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে একহাত নিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে মমতা বলেন, এটা তিনটে দলের পরিকল্পিত চক্রান্ত ছিল। “আমি মনে করি, এই জয় গণতন্ত্রের। এই জয় মানুষের। আমি দেশের মানুষকে এই জয় উৎসর্গ করতে চাই”, নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন মমতা। তিনি আরও বলেন, বিজেপি ও সিপিএমকে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল রাজ্যের নাম খারাপ করার উদ্দেশ্য নিয়ে।

প্রসঙ্গত,  প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়া পশ্চিমবঙ্গের 20,000-এর বেশি আসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর করতে হবে না বলে আজ সকালে রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। রাজ্যের বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের সন্ত্রাসের জন্য সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে বিরোধীরা প্রার্থীই দিতে পারেনি।

"মনোনয়নপত্র জমা না দিতে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগকে সামনে রেখে পুনরায় নির্বাচন করার জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছিল বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্ট বিরোধীদের এই রায়ের বিপক্ষে আইনি আশ্রয় নেওয়ারও পথ খোলা রাখল", বলেন বিচারপতি। এই রায়ের বিরুদ্ধে পিটিশন জমা দেওয়ার জন্য  30 দিন সময় দেন তিনি।

নির্বাচন পুনরায় করার নির্দেশ দিলে তা মমতা সরকারের কাছে অত্যন্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারত বলে মনে করছিল ওয়াকিবহালমহল। মমতার সরকার যদিও বিরোধীদের এই বিষয়টি নিয়ে তোলা অভিযোগ সবসময়েই অস্বীকার করে এসেছে। 

যে আসনগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা যায়নি, সেগুলিতে ফল ঘোষণা করার আর কোনও বাধা রইল না এখন। 

রাজ্যের বিরোধী দলগুলির মধ্যে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস শীর্ষ আদালতে গিয়ে অভিযোগ জানায় যে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভয়াবহ সন্ত্রাসের ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্রই জমা দিতে পারেনি তারা। এছাড়া, আরও অভিযোগ ছিল যে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন হাতে খোলা তরোয়াল নিয়ে তৃণমূলের বাইক মিছিলের ফলে বিরোধী দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বৈদ্যুতিনভাবে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক তৃণমূলের জয়ের কথা শীর্ষ আদালতে উল্লেখ করেছিল সিপিএম। ওই একই বিষয় নিয়ে আদালতে সরব হয়েছিল বিজেপিও। সুপ্রিম কোর্ট বিস্ময়প্রকাশ করেছিল যে ঠিক কীভাবে এত বিপুল সংখ্যক আসন (34.35%)-এ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করল শাসক তৃণমূল।

সেই মামলারই রায় বেরোল আজ।  চরম স্বস্তির শ্বাস ফেলল তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

.