নয়া দিল্লি: হাড়কাঁপানো শীত সম্ভবত শেষবার পড়েছিল ১৯০১ সালে। সেবারেও ডিসেম্বরে ঠাণ্ডার চোটে ঘরের মধ্যেই হাত-পা জমে গেছিল আট থেকে আশির। তারপর এমন জব্বর শীতলতম মরশুম আর দেখেনি Delhi। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ১১৮ বছর পরে আবার রক্ত জমিয়ে দেওয়া শীতলতম ডিসেম্বর (second-coldest December) ফিরেছে রাজধানীতে। যার কাছে রাজনৈতিক উত্তাপও যেন ফিকে। একই ভাবে কাঁপছে কলকাতাও। আবহাওয়াবিদদের দাবি, ১৯১৯, ১৯২৯, ১৯৬১, ১৯৯৭--- এই চার বছর দিল্লিতে তাপমাত্রা নেমেছিল ২০ ডিগ্রির নীচে। বাকি বছর তুলনায় উষ্ণ ছিল রাজধানী। ফলে, দুটো করে কম্বল গায়ে দিয়েও ঠকঠকিয়ে কাঁপছে দিল্লিবাসী। একই সঙ্গে গতকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিপাতের দরুণ পারদ নেমেছে তিলোত্তমারও। বড়দিনের দিন অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও আকাশ ছিল আংশিক মেঘলা। তবে এই আবহাওয়াতেই বড়দিনের আনন্দ চুটিয়ে উপভোগ করেছে শহরবাসী।
মাফ্লার নিয়ে করা রসিক প্রশ্নে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জবাব এবং পরামর্শ
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিল্লির গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তাপমাত্রা ১৯.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। সফদরজং আবহাওয়া অফিসের মতে, ১৮ ডিসেম্বর তাপমাত্রা নেমে গেছিল ১২.২ ডিগ্রিতে। পালামে ২৫ ডিসেম্বর ছিল মরশুমের শীতলতম দিন। তাপমাত্রা নেমেছিল ১১.৪ ডিগ্রিতে। আবহাওয়াবিদদের দাবি, ১৪ ডিসেম্বর থেকে গত ১৩ দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলছে দিল্লিতে। ৩১ ডিসেম্বর পর্ন্ত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশপাশে ঘুরবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। আবহাওয়াবিদদের কথায়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রিতে নামলে সেই দিন হবে রাজধানীর শীতলতম দিন।