This Article is From Jan 23, 2019

৭৭ বছর পার! নেতাজির জন্মদিন পালনে আজও বিনা পয়সায় তেলেভাজা বিতরণ করে চলেছে এই দোকান

এলাকার লোক তো বটেই  বহু দূর থেকে মানুষ আসেন তেলেভাজা খেতে থুড়ি ভারত মায়ের বীর সন্তানকে সম্মান জানাতে।

Advertisement
Kolkata

চারপাশের অনেক কিছু বদলালেও এই বিশেষ দিনে তেলেভাজা  বিলি বন্ধ  হয়নি।

Highlights

  • বিনা পয়সায় তেলেভাজা বিতরণ শুরু হয়েছিল লক্ষ্মীনারায়ণ সাউঅ্যান্ড সন্সে
  • চারপাশের অনেক কিছু বদলালেও এই বিশেষ দিনে তেলেভাজা বিলি বন্ধ হয়নি
  • জন্মদিনকে স্মরণ করে দোকান সাজানো হয়েছে
কলকাতা:

দেশ তখনও স্বাধীনতার আলোয় আলোকিত হয়নি। সর্বত্র চলছে স্বাধীন হওয়ার লড়াই। এরই মাঝে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে বিনা পয়সায় তেলেভাজা বিতরণ শুরু হয়েছিল লক্ষ্মীনারায়ণ সাউঅ্যান্ড সন্সে। সেটা ১৯৪২ সালের ঘটনা। প্রথম প্রথম ব্রিটিশ পুলিশের ভয় থাকত। পরে দেশ স্বাধীন হল। সেই ভয় কাটল। কিন্তু নেতাজির খোঁজ আর পায়নি দেশ। শুধু অপেক্ষা করেই কেটেছে  সাত দশকেরও বেশি সময়। চারপাশের অনেক কিছু বদলালেও এই বিশেষ দিনে তেলেভাজা  বিলি বন্ধ  হয়নি। আজ ৭৭ বছর  পেরিয়েছে এভাবেই। এলাকার লোক তো বটেই  বহু দূর থেকে মানুষ আসেন তেলেভাজা খেতে থুড়ি ভারত মায়ের বীর সন্তানকে সম্মান জানাতে।

দোকানের পথ চলা শুরু হয়েছে  ১৯১৮ সালে। তখন থেকেই শহরের মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে থাকে  এই দোকানের নানা পদ। এক সময় নেতাজির সংস্পর্শে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সেটাও একটা ইতিহাস। জানা যায় দোকানের কাছাকাছি কোনও একটা জায়গায় নেতাজির আসা যাওয়া ছিল। সেখানে তাঁকে এই দোকানের খাবার খাওয়ানো হত। তখন নেতাজি স্কটিশচার্চ কলেজের ছাত্র। সেই সূত্রেই যোগাযোগ। তারপর ধীরে ধীরে গভীর হয় সম্পর্ক। পেরিয়ে যেতে থাকে সময়। সুভাষ চন্দ্র বসু হয়ে ওঠেন নেতাজি। দোকানের মালিকপক্ষ মনে করে এবার নেতাজির স্মরণে কিছু করা উচিত। সেই উদ্দেশেই শুরু হয় তেলেভাজা  বিতরণ।

আরও পড়ুনঃ এক লক্ষ টাকার নোটে ছিল নেতাজির ছবি

উত্তর কলকাতার দোকানটির বাইরে আজও ২৩শে জানুয়ারি এমনই ভিড় জমায় মানুষ।

এই দোকানের পত্তন করেন খেদু সাউ। তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগ হয় নেতাজির। ১৯৪২ সাল থেকে তাঁর উদ্যোগেই শুরু হয় তেলেভাজা বিতরণ। এখন দোকান দেখেন  তাঁর দুই নাতি। তাঁদেরই একজন কাউন্সিলর মোহনকুমার গুপ্ত । এনডিটিভি বাংলাকে  তিনি জানালেন সকাল দশটার কিছু আগে থেকে শুরু হয়েছে তেলেভাজা বিতরণ। দুপুর পর্যন্ত যারা আসবেন তাঁদেরই দেওয়া হবে। নেতাজির জন্মদিনকে স্মরণ করে  দোকানের একাবারে সামনে  থাকা মূর্তিতে  মালা দেওয়া হয়েছে। সাজানো হয়েছে আসপাশটাও।

Advertisement

অনেকেই বলেন বাঙালি নিজের অতীত মনে  রাখে না, সংস্কৃতির ধার ধারে না। সেই অভিযোগ যে একেবারে ভিত্তিহীন তা বলা যাবে না। তবে এই দোকানের মতো কিছু প্রতিষ্ঠান যে  ব্যতিক্রম এক বাক্যে মেনে নিতে হবে এটাও।    

Advertisement