বিজেপির দাবিকে “নিজেদের অপরাধ ঢাকতে প্রোপাগান্ডা” বলে মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল চিত্র)
কলকাতা: দলের বিধায়কের খুনের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলে সোমবার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যদিও তারা অন্য কোথাও চলেও যায়, “তাদের কলার চেপে ধরে শহরে ফিরিয়ে আনা হবে”।
কারও নাম না করে সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি কেউ দিল্লিতে পালিয়ে গিয়ে থাকে, এবং মনে করে আইনের থেকে পালিয়ে যাবে, তাহলে এটা জেনে রাখুক, যে তাদের কলার চেপে ধরে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হবে”।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়কের খুনের ঘটনায় মুকুল রায় সহ চারজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় রবিবার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোদ মুকুল রায়।
"এফআইআর করা সোজা, আগে আমার অপরাধ প্রমাণ করুক": মুকুল
বিধায়কের খুনের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি, বরং ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলেই মন্তব্য করেছে তারা।
বিজেপির দাবিকে “নিজেদের অপরাধ ঢাকতে প্রোপাগান্ডা” বলে মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন,“যদি তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকে, বিজেপির উচিত, দুটি গোষ্ঠীর নাম করা।তারা কেন নাম করছে না?এটা করা উচিত।ঘটনা হল, লোকসভা নির্বাচনের আগে পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি”।
তৃণমূল বিধায়ক খুনের এফআইআরে মুকুল রায়ের নাম, গ্রেফতার ২
সংবাদসংস্থা পিটিআই মুকুল রায় বলেন, “তিনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়)কারও নাম নেন নি, সেই জন্য আমি কিছু বলতে পারব না...যেখানেই তৃণমূলের নেতা কর্মী খুন হচ্ছেন, তারা বিজেপিকে দোষারোপ করছে। আগে তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ন্ত্রণ করা উচিত”।
যে চারজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রবিবার দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।ধৃত কার্তিক মণ্ডল এবং সুজিত মণ্ডলকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সরস্বতী পুজোর যে মণ্ডপে মন্ত্রী এবং বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস ছিলেন, সেখানে নিরাপত্তা ছিল না, এই অভিযোগে হাঁসখালি থানার ওসি এব্ং বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করা হয়।