কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জানান, এই ধরণের অপরাধের মোকাবিলা করতে, আইন সংক্রান্ত এজেন্সি এবং রাজ্যসরকারগুলি কার্যকর এবং কঠোর পদক্ষেপ করেছে।
কলকাতা: দলিত এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, রামনাম ব্যবহার করে তাদের গনপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহসহ বিশিষ্টরা। সেপ্রসঙ্গে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভি। দেশে সংখ্যালঘু এবং দলিতরা সুরক্ষিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, যাঁরা এখনও ভোটের পরাজয় “ধাক্কা সামলে উঠতে” পারেননি, তাঁরাই “অপরাধমূলক ঘটনা” নিয়ে রাজনীতি করছেন। চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল, অপর্ণা সেনের সাক্ষর করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “মুসলিম, দলিতসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পিটিয়ে মারার ঘটনা দ্রুত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন”।
জয় শ্রী রাম বিতর্কে মোদিকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহরা
চিঠি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, “২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পরেও পুরষ্কার ফেরৎ দেওয়া নিয়ে আমরা একই ঘটনা দেখেছি, এটা তারই দ্বিতীয় অংশ”। অসহিষ্ণুতা এবং হিংসার ঘটনার বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ তুলে পুরষ্কার ফেরৎ দিয়েছিলেন বহু বিশিষ্ট লেখক। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জানান, এই ধরণের অপরাধের মোকাবিলা করতে, আইন সংক্রান্ত এজেন্সি এবং রাজ্যসরকারগুলি কার্যকর এবং কঠোর পদক্ষেপ করেছে। তিনি বলেন, “কিন্তু কয়েকজন ব্যক্তি, যারা নিজেদের মানবধিকার এবং ধর্মনিরপেক্ষতার অভিভাবক মনে করেন, তাঁরাই এই ধরণের অপরাধমূলক ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার রং দেওয়ার চেষ্টা করছেন”।
কাউকে জঙ্গি ঘোষণা করতে বিল পাশ লোকসভায়, ওয়াকআউট বিরোধীদের
মুক্তার আব্বাস নাকভির বলেন, এই সমস্ত ব্যক্তিরা মোদির দ্বিতীয়বার ব্যাপক জয়ের “ধাক্কা” এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি এবং “পুরষ্কার ফেরৎ দেওয়ার দ্বিতীয় অধ্যায়” শুরু করেছেন। তাঁর কথায়, “আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই যে, সংখ্যালঘু এবং দলিতরা আমাদের দেশে নিরাপদ। তাঁদের আর্থ-সামাজিক, ধর্মীয় অধিকার পুরোপুরি নিরাপদ। এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, মোদি সরকারের আমলে, ধর্মীয় হিংসার একটাও ঘটনা ঘটেনি”।
২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, “বিরোধিতা ছাড়া গণতন্ত্রের অস্তিত্ত্ব থাকে না”। চিঠিতে সাক্ষরকারীরা বলেন, তাঁরা দুঃখিত যে, জয় শ্রীরাম স্লোগান এথখন উত্তেজনাপূর্ণ যুদ্ধের হুঙ্কারে পরিণত হয়েছে এবং ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং বহু গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে এই নাম ব্যবহার করে”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)