This Article is From Dec 23, 2018

নবীনচন্দ্র দাসকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনদিনের রসগোল্লা উৎসব আয়োজনে রাজ্যসরকার

উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোতে নবীন চন্দ্র দাস ১৮৬৪ সালে একটি মিষ্টি দোকান খোলেন। কিন্তু চরম সাফল্য পান ১৮৬৬ সালে বাগবাজারে দোকান স্থানান্তরিত করার পরে।

নবীনচন্দ্র দাসকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনদিনের রসগোল্লা উৎসব আয়োজনে রাজ্যসরকার
কলকাতা:

বছর শুরু যেভাবেই হোক, বা সারা বছর ধরে আমাদের চাওয়া পাওয়া, পরিবেশ ও পরিস্থিতি যেমনই কাটুক না কেন বছর শেষ হোক মিষ্টি মুখ করেই। বছরের শেষ ভালো করতে কলকাতায় তিন দিনের 'রসগোল্লা উৎসবে'র আয়োজন করা হয়েছে। বলাবাহুল্য, রসগোল্লার আবিষ্কর্তা নবীন চন্দ্র দাসকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই বিশেষ উৎসবের আয়োজন।

গত বছরই বাংলা রসগোল্লার ভৌগোলিক সূচক (জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন বা জি আই) লাভ করে। মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, রসগোল্লা আবিষ্কারের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তিন দিনের এই উৎসব শুরু হবে ২৮ ডিসেম্বর থেকে। শশী পাঁজা বলেন, “রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এই প্রথমবার বাগবাজার-ও-রসগোল্লা উত্সব শুরু হচ্ছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য সেই মানুষটিকে সম্মান জানানো যিনি এই অসামান্য মিষ্টি আবিষ্কার করে এত কাল ধরে বাঙালির মন জয় করে আসছেন।” মন্ত্রী শশী পাঁজা এই উৎসবের মূল আহ্বায়কও। তাঁর কথায় এই উৎসবে বাংলার নবজাগরণের আঁতুড়ঘর বাগবাজারের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকেও তুলে ধরা হবে এই উৎসবে।

‘ভয়াবহ' আকার নিচ্ছে শহর কলকাতার দূষণ! প্রশাসনকে দুষলেন বিশেষজ্ঞরা

এই উৎসবে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বিশিষ্ট গায়ক হরিহরণ। উৎসব কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা শুভাপ্রসন্ন, ও রসগোল্লার উদ্ভাবক নবীনচন্দ্র দাসের উত্তরাধিকারী ধীমন দাস কমিটির সদস্য, তাঁরা উৎসবে রন্ধন প্রতিযোগিতা এবং কুইজের ব্যবস্থাও করেছেন। নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, সারা দেশের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা এই তিনদিন ব্যাপী মেলায় তাঁদের বিশেষ বিশেষ মিষ্টি সকলের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, “আমি খুব গর্বিত যে এই শহরে বাগবাজারে রসগোল্লা আবিষ্কার হয়েছিল। আমরা এই উৎসবে বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজোর ১০০ বছরও পালন করবো।”

উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকোতে নবীন চন্দ্র দাস ১৮৬৪ সালে একটি মিষ্টি দোকান খোলেন। কিন্তু চরম সাফল্য পান ১৮৬৬ সালে বাগবাজারে দোকান স্থানান্তরিত করার পরে। ১৮৬৮ সালের কিছু আগে বা পরে তিনি ছানা দিয়ে অসাধারণ এই রসগোল্লা তৈরি করেন। যা আজও বাংলা ও বাঙালির পরিচয়ের অঙ্গ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.