Labourers Accident in UP: কমপক্ষে ১৭ জন ওই ট্রাকটিতে ছিলেন বলেন জানা গেছে
হাইলাইটস
- ফের উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পরিযায়ী শ্রমিকদের
- ট্রাক উল্টে মারা গেলেন ৪ পরিযায়ী শ্রমিক, প্রত্যেকেই মহিলা
- আরও বহু শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
মাহোবা, উত্তরপ্রদেশ: ফের সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Workers)। এবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসি-মির্জাপুর জাতীয় সড়কে ট্রাক উল্টে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গেছে, ট্রাকটি প্রচণ্ড গতিতে চলার সময় হঠাৎই তার টায়ার ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় সেটি। ওই দুর্ঘটনায় (Mahoba Accident) কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের (Labourers Accident in UP) পর সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১৭ জনের পরিযায়ী শ্রমিকের ওই দলটি পূর্ব উত্তরপ্রদেশে নিজেদের গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্যে দিল্লি থেকে হাঁটা শুরু করে। মাঝপথে ওই ট্রাকটিতে ওঠে শ্রমিকরা। ট্রাকের চালক তাঁদের গ্রামে পৌঁছে দেবেন, শ্রমিকদের সঙ্গে এই রফাই হয় তাঁর। পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, "একটি টায়ার ফেটে যাওয়াতেই ট্রাকটি উল্টে যায়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তবে তাঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। ওই দলটি দিল্লি থেকে রওনা হয়"।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে সরকারকে দায়ী করায় কংগ্রেসকে যোগীর পাল্টা কটাক্ষ
করোনা ভাইরাসকে রুখতে দেশে লাগাতার লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। সকলেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হলেও নিজেদের ঘরে ফিরতে চাইছেন, ফলে প্রায় সময়েই নানা ধরণের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। বাড়ি ফিরতে চেয়ে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিকদের এটি সাম্প্রতিকতম ঘটনা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ দিনে কমপক্ষে ৫০ জন বেকার পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়ে দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবারই, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে আউরাইয়া জেলায় দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৬ জন শ্রমিক মারা যান এবং ৩০ জন আহত হন। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। পরিস্থিতি বিচার করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের সীমানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বাড়ি ফিরতে মরিয়া, বাস ধরতে ঠাসাঠাসি ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জেলা আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে কোনও পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারকে পায়ে হেঁটে বা ট্রাক বা অন্য কিছুতে করে রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে সেব্যাপারে নজর রাখতে। পাশাপাশি রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের জন্য খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন তিনি। এমনকী এই আশ্বাসও দেন যে ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য বাসের বন্দোবস্তও করা হবে।
শনিবারের দুর্ঘটনার পরের দিনই দেখা যায় পুলিশকে উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে। যদিও এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভও দেখান বহু পরিযায়ী শ্রমিক।
শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেই এই একই চিত্র উঠে আসছে। দিনের পর দিন কাজ হারিয়ে ভিনরাজ্যে রীতিমতো অসহায় অবস্থায় কাটাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিকদের ফেরাতে শ্রমিক স্পেশালের ব্যবস্থা করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয় বলেই জানা যাচ্ছে।