Sheila Dikshit Death: শনিবার বিকেল ৩টে ৩০ নাগাদ প্রয়াত হন শীলা দীক্ষিত
নয়া দিল্লি: প্রয়াত হলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত (Sheila Dikshit)। ৩ বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী(Former Delhi CM) হিসাবে দায়িত্ব সামলান তিনি। শনিবার দিল্লির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জীবনভর কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে কাজ করে যাওয়া শীলা দীক্ষিত (Sheila Dikshit Death)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৩টে ৩০ নাগাদ প্রয়াত হন তিনি (Sheila Dikshit Death)। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে টানা ৩ বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন শ্রীমতি দীক্ষিত। পরবর্তীতে তাঁকে হারিয়ে দিল্লিতে সরকার গড়ে রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও পরে দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন শীলা দীক্ষিত। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন প্রবীণ ওই কংগ্রেস নেত্রী।
নয়া রাজ্যপাল নিয়োগ: পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন জগদীপ ধনখার
“শ্রীমতি শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণের খবরে আমরা শোকাহত। আজীবন কংগ্রেসের সদস্য হিসাবে কাজ করে গেছেন তিনি। দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ৩-৩বার রাজধানীর দায়িত্বও সামলেছেন অভিজ্ঞ ওই নেত্রী। তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমরা সহানুভূতি জানাই। আশা রাখছি, এই শোক সামলে ওঠার শক্তি পাবেন তাঁরা”, ট্যুইট করা হয় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে ট্যুইট করে তাঁর শোকবার্তা জানান রাজধানীর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। দিল্লির প্রতি শ্রীমতি দীক্ষিতের অবদান অবিস্মরণীয়, লেখেন তিনি। “দিল্লির জন্যে তাঁর প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি এবং দিল্লির প্রতি তাঁর যা অবদান রয়েছে তা কখনো ভোলার নয়। তাঁর পরিবারকে আমার সহানুভূতি জানাই। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি”, ট্যুইট কেজরিওয়ালের।
শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি যেভাবে রাজধানীর ভোলবদল করেছিলেন তা কখনোই ভোলার নয়। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি রইল আমার সহানুভূতি”, ট্যুইটবার্তা দেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ।
দিল্লির রাজপথ, উড়ালপুল সহ রাজধানীর সামগ্রিক উন্নয়নের নেপথ্যে হাত রয়েছে শীলা দীক্ষিতের, একথা একবাক্যে স্বীকার করছেন সকলেই। এছাড়া রাজধানীর গণ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিতেও তাঁর অবদান রয়েছে। পাশাপাশি দিল্লির শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতিতেও নজর দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত।
উত্তরপ্রদেশ গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবার সাক্ষাৎ করল প্রিয়ঙ্কা গান্ধির সঙ্গে
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলানোর পর, ২০১৪ সালে কেরালার রাজ্যপাল হিসাবেও দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে, কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার ৬ মাসের মাথাতেই তিনি রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন।
শ্বশুর তথা উত্তরপ্রদেশের কিংবদন্তী কংগ্রেস নেতা উমা শঙ্কর দীক্ষিতের হাত ধরে রাজনীতিতে নিজের জায়গা শক্ত করেন শীলা দীক্ষিত। উমা শঙ্কর দীক্ষিত একসময় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির মন্ত্রিসভারও সদস্য ছিলেন।
পাঞ্জাবের কাপূরথালায় জন্মগ্রহণ করেন শীলা দীক্ষিত, নিজের জীবনকালে তিনি বহু বিশিষ্ট মানুষের সাহচর্য্য লাভ করেছেন। ভারতীয় রাজনীতির জগতেও ওই অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেত্রীর অবদান অনস্বীকার্য্য।