বাঘকে ঘুম পাড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরানোর চেষ্টা চলছে
নিউ দিল্লি: বন্যা-বিধ্বস্ত আসামে যখন শয়ে শয়ে মানুষ গৃহহারা, ভেসে গেছে অথবা প্রাণ গেছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের অনেক পশুর তখনই টুইটারে ঠিক এর বিপরীত ছবি দেখে বাক্যহারা টুইটারেত্তিরা! বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ আজকের টুইটারে (Twitter on Thursday) দেখা গেছে কাজিরাঙা (Assam's Kaziranga) হাইওয়ের পাশের এক বাড়িতে কী করে যেন প্রাণ বাঁচাতে ঢুকে পড়েছেন পেল্লায় এক বাঘমামা (Royal Bengal tiger)! শুধু ঢোকা নয়, বাড়ির কর্তার মতোই সেই বাড়ির বিছানাটিও এখন তাঁর দখলে। দিব্যি আয়েশ করে সেখানে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন তিনি।
বন্যার কবলে অসম, প্রভাবিত ৪৩ লক্ষ মানুষ, রইল ১০ টি তথ্য
ওই বাড়িরই একটি গর্তের মধ্যে দিয়ে ছবিটি নাকি তোলা হয়েছে। দেশের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা দফতরের শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটতে কাটতে ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটি আপাতত আরামেই রয়েছে বাড়ির ভেতর।
বাড়িতে বাঘ ঢুকতে দেখে এদিকে বাড়ির মালিকের তো প্রাণ যায় যায় দশা। প্রতিবেশিরাও দৃশ্য দেখে হাঁউমাঁউ করে চিৎকার জুড়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের সবাইকেই শান্ত এবং সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ঘুম পাড়িয়ে বাঘটিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অসমের বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫২ লক্ষ মানুষ, এখনও পর্যন্ত মৃত ২০
প্রসঙ্গত, বন্যা বিধ্বস্ত আসামে বিপর্যস্ত জনজীবন। বহু ঘরবাড়ি তছনছ বন্যার তাণ্ডবে। মূল রাজ্য থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বন দফতর আরও জানিয়েছে, জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ জলের তলায়। ভেসে গেছে উদ্যানের অন্যতম সম্পদ একশৃঙ্গ গন্ডার। এক সপ্তাহে মারা গেছে ৩০টি পশু। বেশ কিছু পশু ভেসেও গেছে। যদিও এবার আস্তে আস্তে জল নামছে জাতীয় উদ্যানের।
প্রসঙ্গত, কাজিরাঙার উদ্যানের উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ। দক্ষিণে উচ্চভূমি। বছর দুয়েক আগে এমনই এক ভয়াবহ বন্যায় উদ্যানের ৩৬০টি পশুর মধ্যে মারা গেছিল ৩১ টি পশু। তালিকায় ছিল একশৃঙ্গ গন্ডার আর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।