টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ। (ফাইল চিত্র)
নয়াদিল্লি: তথ্য-প্রযুক্তি আইনে ভারতে নিষিদ্ধ ৫৯টি চিনা অ্যাপস (Tiktok and 59 others chinese apps banned)। তালিকায় আছে টিকটক (Tiktok-UC Browser), হ্যালো, ইউসি ব্রাউজারের মতো জনপ্রিয় ডিজিটাল মাধ্যমগুলো। কেন্দ্রীয় সরকারের (Government of India) তরফে এই উদ্যোগকে ডিজিটাল স্ট্রাইক ঘোষণা করা হয়েছে। লাদাখ সংঘাতের সূত্র টেনে এই সিদ্ধান্ত। এবার টিকটকে (Tiktok CEO to Indian employee) কাজ করা ভারতীয়দের পাশে থাকতে বার্তা পাঠালেন সিইও কেভিন মেয়ার। তিনি বিবৃতিতে লেখেন, "টিকটকে আমাদের উদ্যোগ ছিল ইন্টারনেটকে গণতান্ত্রিকভাবে সাবলম্বী করা। আমরা কিছুটা হলেও এই উদ্যোগে সফল। এখনও আমরা এই কাজ সফল করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। পাশাপাশি অংশীদারদের উদ্বেগ প্রশমনে দায়বদ্ধ।"
তিনি উল্লেখ করেছেন, "টিকটক ভারতীয় আইনে তথ্য গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা বজায়ে অবিচ্ছেদ্য এবং এটাই প্রাথমিক প্রাধান্য।"
বাইট ড্যান্সের ভিডিও অ্যাপসের অন্যতম কর্ণধার কেভিন এদিন সংস্থার ওয়েবসাইটে এই বার্তা পাঠান।
"ভারতে আমাদের কর্মীদের বার্তা" শীর্ষক ব্যানারে কেভিন চাকরি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে লেখেন, "২০১৮ থেকে আমরা চেষ্টা করেছি ভারতের প্রায় ২০০ মিলিয়ন গ্রাহকের সৃজনশীলতা এবং বিনোদনকে প্রচার করার। আমাদের কর্মী আমাদের সম্পদ। এবং তাঁদের সমৃদ্ধ রাখা আমাদের প্রাধান্য। গোটা দেশে আমাদের প্রায় ২ হাজার কর্মী আছেন। যাঁদের ভরে টিকটক ফের ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়ে ফিরতে পারবে। এবং সুযোগ তৈরি করবে, যা দেখে কর্মীরা গর্ব অনুভব করবেন।"
গত বছর ভারতে 5G পরিষেবার পরীক্ষামূলক প্রকল্পে অংশ নেওয়ার বিষয়ে চিনা সংস্থা হুয়াইকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগতই এই চিনা সংস্থাকে এসবের বাইরে রাখার জন্যে চাপ দিচ্ছে। আপাতত ভারতে 5G নিলাম এক বছরের জন্যে পিছিয়ে গেছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত হুয়াইয়ের সমস্ত দ্রব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
"সরকারি নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ", বললো টিকটক ইন্ডিয়া
ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা ফলে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হুয়াইয়ের পক্ষে এদেশে ব্যবসা করা কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মন্ত্রীদের ওই বৈঠকে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে বর্তমানে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোমবার ভারতে ৫৯ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন চিন জানায় যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে তারা। ভারতের তথ্য় প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন যে, অ্য়ান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্য়াটফর্মে থাকা মোবাইল অ্য়াপকে অপব্য়বহার করে গ্রাহকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণেই সবদিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ভারতের এই কড়া পদক্ষেপ জানার পরেই নড়েচড়ে বসে চিন। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের ঝাও লিজিয়ান বলেন, "ঘটনা জানার পর চিন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতি যাচাই করে দেখছে"