This Article is From Nov 07, 2018

অসমে কি বাঙালিদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে? মানতে চান না অনেকেই

অসমে কি বাঙালিদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে? খুনের ঘটনার পর থেকে অনেকেই এই প্রশ্ন  তুলেছেন। একই দাবি কয়েকটি  সংগঠনেরও।

অসমে  কি বাঙালিদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে?  মানতে চান না  অনেকেই

বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে  আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

হাইলাইটস

  • অসমে বাঙালিদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ
  • এই অভিযোগ মানতে চান না এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়
  • এই ঘটনা ঘিরে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
কলকাতা:

অসমে কি বাঙালিদের বেছে বেছে খুন করা হয়েছে? খুনের ঘটনার পর থেকে অনেকেই এই প্রশ্ন  তুলেছেন। একই দাবি কয়েকটি  সংগঠনেরও। তার মধ্যে অন্যতম অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া। তাদের মতে বেছে বেছে বাঙালিদের খুন করা  হয়েছে।  এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া  তালিকা প্রকাশের পর ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী  সর্বানন্দ সোনোয়ালের উচিত  পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে  উদ্যোগ নেওয়া। কিন্ত বেছে বেছে বাঙালিদের খুন  করার কথা  মানতে  চাইছেন না, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ঘটনাস্থল থেকে 50 কিলোমিটার দূরেই শহর। সেখানে  অনেকেই মনে  করেন ওই পাঁচ জনকে বেছে বেছে  খুন করা হয়নি। তাঁদের কেউ কেউ 2016 আর 2003 সালের দুটি ঘটনার কথা  মনে  করিয়ে দিলেন। 2003 সালে  এক সঙ্গে  দশজন বিহারীকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল।   2016 সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল।      

কথা হচ্ছিল ছাতুর সরবত বিক্রেতা  অনিল যাদবের সঙ্গে। তাঁর জন্ম-কর্ম সবই তিনসুককিয়ায়। তিনি জানালেন তাঁর  কোনও ভয় নেই। একটা ঘটনা ঘটেছে ঠিকই কিন্তু তার মানে এই নয় যে  কোনও এক বিশেষ সম্প্রদায়কে বেছে নেওয়া  হয়েছে। প্রায় একই কথা  শোনালেন নিতাইলাল দাস। তিনসুকিয়ার দুর্গাবাড়ি এলাকায় বাস করে বহু বাঙালি পরিবার। অনেক বছর ধরে এখানেই পানের দোকান চালান নিতাই। তিনি বলেন, ওরা বাঙালিদের খুন করবে সেটা  ভেবে  নেওয়া  ঠিক নয়।

কেউ  কেউ অবশ্য বললেন  অন্য  কথা। তাঁদের একজন চা বাগানের কর্মী মধু সাউ। মাসে তিন চারটি করে খুনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি  বলেন পরিস্থিতি দেখে  ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। প্রায় 40 বছর  ধরে অসমে আছেন সিকান্দার সিং। তাঁর বয়স এখন 60। জানালেন আতঙ্কেই দিন কাটছে। তেমন কিছু  হলে  দৌড়ে প্রাণ বাঁচাতে হবে বলে তাঁর আশঙ্কা। অসমের  বাঙালি স্বরূপ বণিক জানান এনআরসি'র  পর পরিস্থিতি খুব একটা অনুকূলে নেই।

এরই মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে  আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।  তিনি বলেন আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে   স্বজন হারানো মানুষের পাশে গিয়ে   দাঁড়াতাম। কিন্তু  তিনি (বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী) ভবনের উদ্বোধন করতে চেন্নাই  চলে  গেলেন, নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন না!  তবে সোনওয়াল জানিয়েছেন তাঁর সরকার সমস্ত ব্যবস্থা  করেছে।                                                        

 

 

.