This Article is From Jul 02, 2018

রপ্তানি ও কর্মক্ষেত্রে মন্দার কারণে গভীর সংকটে ভারতের তৈরি পোশাকশিল্পের রাজধানী

তিরুপুরের রপ্তানির পরিমাণ 26,000 কোটি টাকা থেকে কমে নেমে এসেছে 24,000 কোটি টাকায়।

সস্তা বিদেশি পোশাক ও জিএসটির সঙ্গে যুঝতে না পেরে ধুঁকছে তিরুপুর

তিরুপুর:

ভারতের বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের রাজধানী তিরুপুর এই মুহূর্তে রপ্তানিতে মন্দা ও কাজের চূড়ান্ত ক্ষতির কারণে ধুঁকছে। তামিলনাড়ুতে পাঁচ লক্ষ ক্ষুদ্র এবং ছোটো সংস্থাকে ঝাঁপ ফেলে দিতে হয়েছে।

তিরুপুরের রপ্তানির পরিমাণ 26,000 কোটি টাকা থেকে কমে নেমে এসেছে 24,000 কোটি টাকায়। পোশাকের রপ্তানির বাজারটির অভিমুখও নিম্নগামী। চিন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়ার সস্তা দরের জিনিসপত্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করতে পারা প্রায়ই সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।

ইস্টার্ন গ্লোবাল ক্লোদিং-এর প্রধান কুমার দুরাইস্বামী বলেন, "ওদের দর আমাদের থেকে 10 শতাংশ কম। ওই সব দেশগুলিতে ব্যবসা করতে গেলে আমাদের তাই 10 শতাংশ সস্তা দরে জিনিস বেচতে হয়। একমাত্র সেক্ষেত্রেই আমাদের পক্ষে লড়াইয়ে টিকে থাকা সম্ভব হবে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখনও প্রত্যেকদিন বিপুল ক্ষতির সঙ্গে লড়াই করে যেতে হচ্ছে আমাদের"। 

বিমুদ্রাকরণের পর থেকেই বিপুল মন্দার সম্মুখীন হয়েছে এই শহরের বাণিজ্য। নগদ না থাকার ফলে যোগানেও সমস্যা দেখা দেয় ওই সময়। 

tirupur

শুধু বিমুদ্রাকরণই নয়। তিরুপুরের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরেকটি কাঁটার নাম হল- জিএসটি। যা ধীরে ধীরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতায় তিরুপুরকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। 

"এই দুই অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে আমাদের ব্যবসা একদম আইসিইউতে চলে গিয়েছি। তার চিকিৎসার জন্য, মাথা তোলার জন্য এখন ঠিকঠাক ওষুধ দরকার", বলেন প্রিমিয়ার এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আর সেন্থিল কুমার।

কাজ না থাকার ফলে কবীর আহমেদের মতো তিরুপুরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা দর্জিদের রোজগার অর্ধেকেরও কম হয়ে গিয়েছে। দুই সন্তানের বাবা কবীর আহমেদ আগে মাস গেলে রোজগার করতেন 15,000 টাকা। এখন সেই রোজগার অর্ধেকেরও কম হয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে 7,000 টাকায়।

"আগে সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছ'দিনই কাজ থাকত আমাদের হাতে। এখন সপ্তাহে সাকুল্যে দু'দিনের বেশি আর কাজ আসে না", বলেন কবীর।

tirupur

 

.