লোকসভার জিরো আওয়ারে দীনেশ ত্রিবেদী এবং অধীর চৌধুরী এই বিষয়ে সরব হন ।
হাইলাইটস
- অসমের বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবি জানাল তৃণমূল ও কংগ্রেস
- লোকসভায় মঙ্গলবার এই বিষয়টি তুললেন বাংলার দুই সাংসদ
- দীনেশ ত্রিবেদী এবং অধীর চৌধুরী জিরো আওয়ারে বিষয়টি তোলেন
নিউ দিল্লি: অসমের বাঙালিদের নিরাপত্তার দাবি জানাল তৃণমূল ও কংগ্রেস। লোকসভায় মঙ্গলবার এই বিষয়টি তুললেন বাংলার দুই সাংসদ। লোকসভার জিরো আওয়ারে তৃণমূলের ব্যারাকপুরের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী এবং কংগ্রেসের বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বাঙালিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। দীনেশ বলেন, "অসমে বাঙালিদের খুন হতে হচ্ছে অথচ সেখানকার বিজেপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই ঘটনা থেকে বিজেপির রাজনৈতিক চরিত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়"। কয়েকদিন আগে অসমে বাঙালিদের খুন হতে হয়েছে । এর আগেও অসমে বাঙালি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল অসমে যায়। সে কথাও তুলে ধরেন দীনেশ। অন্যদিকে অধীর বলেন, "রুটি রুজির জন্য বাঙালিরা পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন রাজ্যে যাচ্ছেন। কিন্তু গুজরাট উত্তর প্রদেশ অসমের মতো রাজ্যে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অসমের ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত"। রাজ্য সরকারকে বাঙালিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। এদিন সংসদে জিরো রে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলী দাবি করেন ২৩ জানুয়ারি দিনটি দেশপ্রেম দিবস হিসেবে ঘোষিত হোক। ছাড়া উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তেজ প্রতাপ সিং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব কে লখনউ বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া নিয়ে সরব হন।
প্রয়াগরাজে যেতে গিয়ে বাধা পেলেন অখিলেশ, আইন- শৃঙ্খলার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত দাবি যোগীর
সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কয়েকবার অসমে আক্রমণের মুখে পড়েছেন বাঙালিরা। অতি সম্প্রতি খুন হয়েছেন দু'জন। তার আগে তিন সুকিয়ায় প্রাণ যায় পাঁচ বাঙালির। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব ছিল তৃণমূল। কলকাতার রাস্তায় মিছিলও করে শাসক দল। পরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে অসমে পৌঁছান তৃণমূল নেতারা। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ও জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েনের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে গিয়েছিল। তাতে ছিলেন দুই সাংসদ নাদিমূল হক এবং মমতাবালা ঠাকুর। ছিলেন বিধায়ক মহুয়া মৈত্রও। নিহতদের পরিবারে সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্যও করেন তাঁরা।