This Article is From Jun 27, 2019

বিজেপিকে রুখতে একসঙ্গে লড়তে হবে তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিআইএমকে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যে বিজেপির উত্থান রুখতে ফের দলমত নির্বিশেষে একজোট হওয়ার আহ্বান জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপিকে রুখতে একসঙ্গে লড়তে হবে তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিআইএমকে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে জোট বাঁধতে হবে সব দলকে: মমতা

কলকাতা:

রাজ্যে বিজেপির (BJP) উত্থান রুখতে ফের দলমত নির্বিশেষে একজোট হওয়ার আহ্বান জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর (Mamata Banerjee) দাবি, রাজ্যে বিজেপি আসলে বাড়বে জাত-ধর্মের বিভেদ। তাই গেরুয়া শিবিরকে রুখতে শাসকদলের সঙ্গে এক হয়ে লড়তে হবে কংগ্রেস, বাম দলকেও। যদিও, তাঁর সেই ডাকে সাড়া দেয়নি বাকি দুই দল। .

"দলের কর্মীদের নিয়মানুবর্তীতা শেখাতে চেয়েছি" কাট মানি বিতর্কে বললেন মমতা

বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তব্য ঘিরে তৈরি হওয়া এক বিতর্কের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাজ্য ও রাষ্ট্র--- উভয় ক্ষেত্রেই সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই অপচেষ্টা রুখতে এক হতে হবে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে।  

এই প্রসঙ্গে মমতার মত, "বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনার পরেই ভাটপাড়া কাণ্ড নিশ্চয়ই চোখ খুলে দিয়েছে সবার। গেরুয়া শিবির পাকাপাকি ভাবে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে এরকম আরও ঘটবে। তাই ঘর সুরক্ষিত রাখতে, রাজ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং রাজ্যবাসীকে সুরক্ষা দিতে আমাদের জোট বাঁধা অতি জরুরি। তার মানে এই নয় যে, সব দলে ভেঙে একটাই দল গড়ার কথা বলছি। সমস্ত ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল স্বতন্ত্র হলেও এই এক বিষয়ে আমরা রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে একজোট হতেই পারি।"

একই সঙ্গে তিনি ২৩ টি বিরোধী দলকে একযোগে ইভিএমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান। তাঁর কথায়, "নির্বাচনের আগে আমরা (বিরোধী দল) ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলাম।। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলাম সবাই। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও ইভিএম দুর্নীতি রুখতে আদালতে যাব সবাই। "

 “জয় শ্রীরাম” বলতে না চাওয়ায় মাদ্রাসার এক শিক্ষককে মারধর,ট্রেন থেকে ধাক্কা

পাশাপাশি তিনি শাসকদলের সমর্থনের গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আব্দুল মান্নানকে বলেন, বাংলায় বিজেপিকে রুখতে এই মুহূর্তে শাসকদলের সমালোচনা না করে তৃণমূলের হাত শক্ত করাই সম্ভবত বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও প্রতিক্রিয়ায় মান্নান বলেন, রাজনীতি নিয়ে তিনি কোনও পাঠ বা জ্ঞান মমতার থেকে নেবেন না। বাম দলের অন্যতম নেতা এবং বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও সুর মেলান মান্নানের সঙ্গে।

অন্যদিকে, রাজ্যে বিজেপির উত্থানকে ঘিরে মমতার এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  তাঁর দাবি, "রাজ্যে বিজেপির উত্থানে ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি খুব ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষায় বসাবে তৃণমূলকে।"

তিনি আরও বলেন, "সব দল জোট বাঁধলেও কোনও ভয় নেই গেরুয়া দলের। এই মুহূর্তে দেশ বা রাজ্যে যে অবস্থায় রয়েছে শিরিয়া শিবির তাতে কোনও শক্তিই তাদের টলাতে বা সরাতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনে তৃণমূল পেয়েছে ২২টি আসন। অন্যদিকে, গত লোকসভায় রাজ্যে মাত্র ২টি আসন পেলেও এবারে ১৮টি আসন পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ের কাছে শ্বাস ফেলছে বিজেপি। ফলে, ২০২১-এ যাতে কোনও মতেই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্যেই সব দলকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন মমতা, দাবি দিলীপ ঘোষের।

.