কলকাতা: “রাজ্যে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান” নিয়ে একটি কমন খসড়া তৈরির প্রস্তাবে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারল না সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। চলতি সপ্তাহেই ১৮৫ ধারায় একসঙ্গে প্রস্তাব আনবে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস, অন্যদিকে, আলাদা করে প্রস্তাব আনবে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা জানান, এই প্রস্তাব যেহেতু তাঁদের দলের দিকেই ইঙ্গিত করে, সেই কারণে, প্রস্তাবের বিরোধিতা করবেন তাঁরা। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির “উথ্থানের” কারণ নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে তিন দল। তবে কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং তৃণমূল, তিনদলই এ বিষয়ে একমত হয়, যে রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ পরিকাঠামোয় আঘাতের সম্মুখীন হচ্ছে তারা।
নেত্রীর কথার ভুল ব্যাখ্যা করেছে কংগ্রেস ও সিপিআই(এম), দাবি তৃণমূলের,প্রতিবাদে ওয়াক আউট বিরোধীদের
রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সিপিআইএম, এবং কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির বৃদ্ধি নিয়ে আমরা বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব আনতে চাই”। তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, অন্তত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে আমরা বিধানসভায় বিরোধিতা করতে চাই, এবং তার জন্য এটাই সেরা সময়”। তাঁর কথায়, “যদিও প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে একমত, তবে খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে আমাদের মত পার্থক্য রয়েছে। সেই কারণেই, ঠিক হয়েছে, আমরা পৃথক প্রস্তাব আনব”।
ক্ষমতায় এসে প্রথমবার তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এই প্রস্তাবে তাঁদের দলের তরফে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, “আমরা চাই, রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের কারণ নিয়েও আলোচনা হোক”। তিনি বলেন, ২০১১-এ বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ, সেখানে আট বছরে সেই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে, ৪০.৫ শতাংশে। তিনি বলেন, “এরজন্য কে দায়ী? তৃণমূলের, বিরোধীদের মুছে ফেলার রাজনৈতিক কৌশলই বিজেপির জায়গা করে দিয়েছে”।
2021 Assembly Polls: স্বমহিমায় দলকে ফোরানোর ডাক মমতার
তিনি আরও বলেন, “কারণ জানতে চেয়ে. আলাদা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। আমরা চাই, কারণগুলি বিধানসভায় রেকর্ড হোক”। আব্দুল মান্নানের সুরেই গান সিপিআইএম নেতা তথা পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
জাতীয়ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে গত সপ্তাহেই বাম এবং কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর সেই প্রস্তাব খারিজ দেয় দুই দল। তাদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতির কারণেই রাজ্যে উথ্থান ঘটেছে বিজেপির।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)