This Article is From Mar 12, 2019

লোকসভা ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল, বাদ পড়লেন ১০ জন বর্তমান সাংসদ

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসুর জায়গায় এবারে ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ।

লোকসভা ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল, বাদ পড়লেন ১০ জন বর্তমান সাংসদ

মঙ্গলবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল

কলকাতা:

লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হবে সাত দফায়। ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে তা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের ৪২'টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। তিনি যে রাজ্যের বাইরেও নির্বাচনী প্রচারে যাবেন, যে তালিকায় থাকতে পারে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীও, তাও জানিয়ে দিলেন মমতা। এখনও তিনি মনে করেন, বিজেপিকে দিল্লির মসনদ থেকে সরানোর জন্য বিজেপি-বিরোধী মহাজোটের অত্যন্ত প্রয়োজন। আগামী শুক্রবার এই বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠক রয়েছে দিল্লিতে। ওই বৈঠকটিতে সম্ভবত থাকতে পারবেন না মমতা। তবু, তিনি এই পুরো প্রক্রিয়াটায় রয়েছেন মানসিকভাবে।

তিনি বলেন, “মোদীবাবুকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতেই হবে। আমরা ওঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাই”। তিনি আরও বলেন, “মোদীবাবু সবাইকে ভয় দেখিয়ে রাখতে পেরেছেন। পুরো ব্ল্যাক ম্যাজিকের মতো। একজন রাজনৈতিক নেতাকে ভয় পাব কেন আমরা? যারা ভয় পাচ্ছে, তারা মরে যাবে। তবে, আমাকে ভয় পাওয়ানো অত সহজ নয়। আমি একা আমার সমস্ত বন্ধুদের নিয়ে লড়াই করব মোদীকে হারানোর জন্য”।

আরও পড়ুনঃ ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল,তালিকায় মিমি-নুসরত, লড়বে রাজ্যের বাইরেও

তাঁর প্রার্থীতালিকায় বেশ কয়েকটি চমক রয়েছে। অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেনকে আসানসোলে দাঁড় করানো হয়েছে বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়'র বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বর্ষীয়ান সিপিএম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিলেন মুনমুন সেন। বসিরহাটে গতবারের সাংসদ ইদ্রিশ আলিকে সরিয়ে মমতা এবার দাঁড় করিয়েছেন বাংলাছবির অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে।

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুগত বসুর জায়গায় এবারে ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সুগত বসু লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন না তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্য, জানা গিয়েছে এমনটাই।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে এই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৎকালীন হেভিওয়েট সিপিএম প্রার্থী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে বাংলার রাজনীতিতে উঠে এসেছিল নতুন একটি নাম- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ "বিদ্বেষ ছড়ানোর রাজনীতি চলছে", নিজের প্রথম জনসভায় মোদীকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার

নদীয়া জেলার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৬ সালে জয়লাভ করা মহুয়া মৈত্রকে এবারে লোকসভাতেও দাঁড় করালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়া দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে।

একসময়ে রাহুল গান্ধীর দলে থাকা মহুয়া মৈত্র এই সিদ্ধান্তে স্পষ্টতই খুশি। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত গর্বিত এবং সম্মানিত বোধ করছি কৃষ্ণনগর থেকে ভোটে দাঁড়াতে পেরে। ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পর আমি এখান থেকেই শুরু করেছিলাম আমার রাজনৈতিক জীবন। আবার সেখানেই ফিরে এলাম। আমি বিশ্বাস করি একটা কথায়। তুমি যদি সত্যিই মন থেকে কিছু করতে চাও, তাহলে কোনওকিছুই আটকাতে পারবে না তোমাকে। যত কঠিন পথই হোক, সফল তুমি হবেই”।  

.