This Article is From Dec 11, 2019

আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদ ঠেকাতে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় মণীষীদের মূর্তি বসাচ্ছে তৃণমূল

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব স্বামী বিবেকানন্দ, রাজা রামমোহন রায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সকলের মূর্তি স্থাপন করা হবে।

আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদ ঠেকাতে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় মণীষীদের মূর্তি বসাচ্ছে তৃণমূল
কলকাতা:

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অন্তর্ভুক্তি'র বার্তা প্রচার করতে এবার শহর কলকাতার বিভিন্ন স্থানে পশ্চিমবাংলার মণীষীদের মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিখ্যাত মণীষীদের মূর্তি স্থাপন করে বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদকে কড়া জবাব দিতে চায় বলেই সূত্রের খবর। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ১০৭ টি পৌরসভা এবং কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনগুলিকে ‘মিনি বিধানসভা নির্বাচন' হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আর তাই নিজেদের ঘাঁটি অটুট রাখতে বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল সরকার। 

‘আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছি'': ডেরেক ও'ব্রায়েন

তৃণমূলের একজন প্রবীণ নেতা বলেন, “আমরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাংলার মহান ব্যক্তিত্বেদের মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মণীষীতা বহু শতাব্দী ধরে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অন্তর্ভুক্তির কথাই প্রচার করেছেন। তাদের বার্তাগুলি মূর্তির ফলকে খোদাই করা হবে।”

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব স্বামী বিবেকানন্দ, রাজা রামমোহন রায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সকলের মূর্তি স্থাপন করা হবে। এগুলি ছাড়াও উত্তম কুমার, সত্যজিৎ রায় এবং ঋত্বিক ঘটকের মতো চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এবং গোষ্ঠ পাল, শৈলেন মান্নার মতো ফুটবল খেলোয়াড়ের মূর্তিও শহরের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হবে। মূলত কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির ‘আগ্রাসী হিন্দুত্ব নীতি'র বিরোধিতা করাই এই মূর্তিগুলি স্থাপনের অন্যতম লক্ষ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের ক্ষমতা কমানোর পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা এবং কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “এটি আমাদের সৌন্দর্যায়ন অভিযানেরই একটি অংশ। তবে একই সঙ্গে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজ সংস্কার এবং অন্তর্ভুক্তির বার্তা প্রচার করতে চাই, যা এই মহান ব্যক্তিত্বরা প্রচার করেছিলেন। এখন এমন সময় এসেছে যে আমাদের মণীষীদের শিক্ষাকে স্মরণ করে তাঁদের দেখানো পথেই চলতে হবে।”

অতীন ঘোষ আরও বলেন, “আমরা দেখেছি যে এই বছরের মে মাসে বিজেপি বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভেঙেছে। এমন আচরণ আসলে তাদের বঙ্গবিরোধী মনোভাব এবং আমাদের মণীষীদের প্রতি তাদের অবহেলারই পরিচায়ক।”

তিনি জানান, এই অভিযানে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা খরচা হবে। তৃণমূল নেতারা জনগণের কাছ থেকেই নাকি এই পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করছেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.