This Article is From Jul 03, 2019

‘‘এবার রাজ্যে চলতে থাকা হিংসা বন্ধ হোক’’: রাজ্যে শান্তির আবেদন নুসরত জাহানের

অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে লাথি মারে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ছ’মাসের ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

‘‘এবার রাজ্যে চলতে থাকা হিংসা বন্ধ হোক’’: রাজ্যে শান্তির আবেদন নুসরত জাহানের

সংসদ চত্বরে দুই নবনির্বাচিত সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান।

হাইলাইটস

  • বাংলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধের আবেদন নুসরত জাহানের
  • এক তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীকে দেখতে তিনি হাসপাতালে আসেন
  • অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে বিজেপি কর্মীরা লাথি মেরেছে
কলকাতা:

তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নতুন সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) বাংলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধের আবেদন জানালেন। অভিনয় থেকে রাজনীতিতে আসা নুসরত তাঁর কেন্দ্র বসিরহাটের এক তৃণমূল কর্মীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দেখতে কলকাতার এক হাসপাতালে আসেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় মহিলাদের সব সময় সম্মান করা হয়। এবার সময় এসেছে প্রতিহিংসাকে বন্ধ করার। আমি হাত জোড় করে আপনাদের অনুরোধ করছি এসব বন্ধ করতে।'' নুসরত যাঁকে দেখতে এসেছিলেন সেই মহিলার নাম ইলা মণ্ডল। তাঁর স্বামী গোপাল মণ্ডল তৃণমূল কর্মী। উত্তর ২৪ পরগনার রাজবাড়ি গ্রামে তাঁদের বাড়ি। গত মাসে এখানে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।

ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে পড়লেই হেনস্থা! আলাদা দিনে পড়ানোর সিদ্ধান্ত মালদার সরকারি স্কুলে

শনিবার গোপালের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের গণ্ডগোল হয়। গণ্ডগোলের সূত্রপাত বেড়া দেওয়া নিয়ে। গোপালের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের অশান্তির পরের দিন, রবিবার বিজেপি কর্মীরা আবার তাঁদের বাড়ি আসেন। কিন্তু তখন গোপাল বাড়ি ছিলেন না। সেই সময় সন্তানসম্ভবা ইলা বেড়াটি বাঁধার কাজ করছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ওই মহিলার পেটে লাথি মারে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা ছ'মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পেটে যন্ত্রণার পাশাপাশি তাঁর শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে নুসরত জানিয়েছেন।

ক্ষমতায় এলে তৃণমূল নেতাদের আদায় করা কাটমানি ফেরৎ দেওয়া হবে: বিজেপি

নুসরত জানান, রাজ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে তৃণমূল সরকার দাঁড়িয়ে থাকবে না। তিনি বলেন, ‘‘হিংসার ঘটনায় যেই যুক্ত থাকবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি করব আমরা।''

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের ৪২ আসনের লোকসভায় ১৮টি আসন পায় গেরুয়া শিবির। শাসক তৃণমূল পায় মাত্র চারটি বেশি— ২২টি। অথচ ২০১৪ নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন। সেটাই কমে ২২-এ দাঁড়িয়েছে। এদিকে বিজেপি ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮।

.