ঘটনার পাঁচ দিন পর এক সমাজকর্মীর সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
কলকাতা: cut money ফেরত চাইতে আসা এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক TMC নেতা ও তাঁর তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে। ঘটনা রাজ্যের জলপাইগুড়ির। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, জাতীয় মহিলা কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বীরেন্দ্রকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে আহ্বান জানিয়েছে। ‘কাট মানি' হল কমিশন, যা রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আধিকারিকরা নিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষকে সরকারি আনুকূল্য পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দলের নেতাদের এই ধরনের কমিশন গ্রহণ তিনি বরদাস্ত করবেন না। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি আমার দলে চোরদের রাখতে চাই না। কোনও কোনও নেতা গরিবদের গৃহ নির্মাণের অনুদান পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ২৫ শতাংশ কমিশন চাইছেন। এটা এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। যদি আপনারা কেউ টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে ফেরত দিয়ে দিন।''
Mamata in Digha:নিজের হাতে চা বানিয়ে নিজে খেয়ে সহকর্মীদের খাওয়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
পুলিশে জমা পড়া অভিযোগ অনুযায়ী, ৩৫ বছরের ওই মহিলা ৭,০০০ টাকা ‘কাট মানি' দিয়েছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ বুলবুল আলমকে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জলপাইগুড়িতে একটি গৃহ নির্মাণের সুযোগ পেতে। কিন্তু ছ'মাস পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় ওই মহিলা তাঁর দেওয়া টাকা ফেরত চান।
অভিযোগ, মহম্মদ বুলবুল আলম ওই টাকা ফেরত নিতে আসার জন্য ১৪ আগস্ট ওই মহিলাকে তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন। এরপর ওই মহিলা সেখানে গেলে তাঁকে সঙ্গীদের সঙ্গে মিলে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত নেতা।
‘‘প্রক্রিয়া ভুল, দুঃখজনক'': চিদাম্বরমের গ্রেফতারি নিয়ে Mamata Banerjee
মহিলার স্বামী ভুটানে থাকেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর এক সমাজকর্মীর সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছে, ‘‘অভিযুক্ত একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি, যাঁর কাজ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু তার বদলে তিনি দু'টি অপরাধ করেছেন। প্রথমত, এক সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এক মহিলার থেকে ঘুষ খাওয়া। দ্বিতীয়ত, সঙ্গীদের সঙ্গে মিলে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা।''
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণন কল্যাণী জানিয়েছেন, আইন আইনের পথে চলবে। পাশাপাশি তিনি নিজের সন্দেহের কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভাল করার পর থেকে ওরা আমাদের কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। সম্প্রতি কোনও কোনও বিজেপি নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এবার ওরা সেটা ফিরিয়ে দিতে চাইছে। এটা কোনও পূর্ব পরিকল্পিত ছক হতে পারে পুলিশকে বলা যে গণধর্ষণ হয়েছে। কেবল তদন্তের মাধ্যমেই সত্য প্রকাশিত হবে।''
চার অভিযুক্তই পলাতক। আক্রান্ত মহিলা আদালতে নিজের বিবৃতি দিয়েছেন। হাসপাতালে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা চলছে।
(তথ্য সহায়তা: পিটিআই)