নদিয়ার তৃণমূল সভাপতি গৌরিশঙ্কর দত্ত জানান তালিকা তৈরির কাজ করছেন
হাইলাইটস
- প্রতিটি জেলার সভাপতিদের এই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে
- তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন বিয়ায়কদের মধ্যে মৃত্যু ভয় তৈরি হয়েছে
- লোকসভা নির্বাচনের আগে এ ধরনের হামলা হতে পারেঃ জ্যোতিপ্রিয়
কলকাতা: নদিয়ার বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনার পর অন্যরাও এই আতঙ্কে ভুগছেন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা। বিষয়টিকে যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্য দলের কোন কোন নেতা কর্মী মৃত্যুর ভয় পাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল দল। প্রতিটি জেলার সভাপতিদের এই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এ রাজ্যে তৃণমূলের নেতা- কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা গত কয়েক বছরের মধ্যে কিছুটা হলেও বেড়েছে। সত্যজিতের আগে ওই এলাকায় দলের নেতা খুন হয়েছেন। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ভদ্রেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যানেরও। তাছাড়া আক্রান্ত হওয়ার তালিকায় নাম আছে আরেক বিধায়কেরও। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ওই বিধায়কের উপর হামলা হয় কিছু দিন আগে। সেবার তাঁর প্রাণ বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয় দুজনের। এর বাইরে নাগেরবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার লক্ষ্য তিনিই ছিলেন বলে দাবি করেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পাঁচু রায়।
পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে উদ্যোগ, P-5 দেশগুলির সঙ্গে কথা ভারতের: সূত্র
এরকমই নানা ঘটনার পর বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করল দল। দলের বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন বিয়ায়কদের মধ্যে মৃত্যু ভয় তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী এবং জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান লোকসভা নির্বাচনের আগে এ ধরনের হামলা হতে আমরা বলে আশঙ্কা করছি। আর তাই সাবধান হতেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
সত্যজিৎ যে জেলার বিধায়ক ছিলেন সেই নদিয়ার তৃণমূল সভাপতি গৌরিশঙ্কর দত্ত জানান তালিকা তৈরির কাজ করছেন তিনি। আরও কয়েকটি জেলাতেও এই কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় দায় বিজেপির কাঁধেই চাপিয়েছে তৃণমূল। সে কথা মানতে নারাজ বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান বিজেপির কাঁধে দোষ না চাপিয়ে তৃণমূলের উচিত দলের মধ্যে থাকা লড়াই শেষ করে দেওয়া। সেটা না হওয়া পর্যন্ত অন্যদের দোষ দিয়ে কী হবে?
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)