This Article is From Feb 03, 2020

বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনল TMC

তৃণমূলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণে সংশোধিত আইন নিয়ে মানুষের কষ্ট ও উদ্বেগকে স্বীকার করা হয়নি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনল তৃণমূল কংগ্রেস।

Highlights

  • রামনাথ কোবিন্দের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
  • বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনল তারা
  • এর ফলে সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হল

শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) শুরুতে ভাষণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ (Protest Against CAA), অর্থনৈতিক মন্দা ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি ঘটানোর মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind) ‘নীরবতা' নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংশোধনী প্রস্তাব আনল তারা। এর ফলে সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হল। রাষ্ট্রপতি শুক্রবার সংসদের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করেন। তাঁর ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিল কয়েকটি বিরোধী দল। তৃণমূলের পক্ষে দলীয় সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংশোধনী প্রস্তাব এনেছেন।

সেই প্রস্তাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিরোধিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির ‘নীরবতা'-র অভিযোগ আনা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে ভাষণে প্রস্তাবিত এনআৱসি ও এনপিআরকে অন্তর্ভুক্ত করার। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশোধনী প্রস্তাব কেবল রাজ্যসভা নয়, লোকসভাতেও পেশ করা হবে।

জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ! দড়ি বেঁধে, টেনে হিঁচড়ে মা-বোনসহ শিক্ষিকাকে মারধর তৃণমূল নেতার

Advertisement

লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ ২২ জন। রাজ্যসভায় সাংসদের সংখ্যা ১৩। দলের তরফে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ছ'টি সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সূত্র থেকে আরও জান‌া গিয়েছে, তৃণমূলের সংশোধনীতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণে সংশোধিত আইন নিয়ে মানুষের কষ্ট ও উদ্বেগকে স্বীকার করা হয়নি। পাশাপাশি দেশব্যাপী এনআরসি ও এনপিআর চালু হওয়ার বিষয়ে মানুষের ভয়কে কমানোর কোনও প্রয়াসও লক্ষ করা যায়নি ওই ভাষণে। পাশাপাশি ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে প্রতিবাদীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পরও বেআইনি আটক, লাঠিচার্জ, গুলি চালানোর মতো বিষয়গুলি নিয়েও ভাষণে কোনও উল্লেখ মেলেনি।

Advertisement

CAA Protest: দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের চলল গুলি, এই নিয়ে তৃতীয়বার!

পাশাপাশি ভারতের অর্থনৈতিক মন্দা, ভারতের বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচক নেমে যাওয়া ইত্যাদি প্রসঙ্গও তোলা হয়েছে।

Advertisement

আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রী ও সাংসদদের ঘৃণা উদ্রেককারী, বিভাজক বক্তৃতা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা বিষয়েও নীরব ছিলেন রাষ্ট্রপতি।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিক দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement