আজ দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে নতুন দলে যোগ দেন সৌমিত্র
হাইলাইটস
- বিজেপিতে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ
- দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে নতুন দলে যোগ দেন সৌমিত্র
- তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়
নিউ দিল্লি: বিজেপিতে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে নতুন দলে যোগ দেন সৌমিত্র। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জানা যায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই মমে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। লোকসভায় তৃণমূলের দল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশও দিয়ে দিয়েছেন পার্থ। দিল্লির বিজেপি দপ্তরে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ প্রধানের উপস্থিতিতে দল ত্যাগ করেন সৌমিত্র। সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও রাহুল সিনহা। মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে পূর্ব ভারত থেকে বেশি সমর্থন পেতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই যোগদান তারই একটি ছোট অংশ। দল ত্যাগ করার আগে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন সৌমিত্র। মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুকমল দাস আরামবাগ, বিষ্ণুপুরের প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর আপ্তসহায়ক সুশান্ত দাঁকে গুম করার চেষ্টা করছেন সুকমল দাস। সুশান্ত দাঁয়ের স্ত্রীর মাধ্যমে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছেন বলেও ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করেন সৌমিত্র খান। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করারও হুমকি দিয়েছেন সৌমিত্র খান।
মহাজোটে থাকছে না বিজেডি, জানালেন নবীন পট্টনায়েক
তাঁর মনে হয়েছে তৃণমূলের একাংশ সাহায্য করছিলেন এসডিপিওকে। এরকমই নানা কারণে দলের উপর ক্ষোভ তৈরি হয় সাংসদের। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল। অবশেষে দল ছাড়লেন সাংসদ। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে তৃণমূল ছাড়েন মুকুল রায়। তারপর থেকে নানা সময়ে তৃণমূলের কয়েকজন বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু কোনও সাংসদের দল ত্যাগ এই প্রথম। মাস খানেক আগে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
২০১৪ সালে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতেন সৌমিত্র। তাঁর আগে বাঁকুড়ারই একটি আসন থেকে কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেছেন তৃণমূল সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা ভাল নয়। সম্প্রতি তা আরও খারাপ হয়েছে। আর অভিষেক বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষক তাই সৌমিত্রর মনে হয়েছিল তিনি এবার প্রার্থী নাও হতে পারেন। আর সে কারণেই দল ছাড়লেন তিনি। আগে তৃণমূলে থাকার সময় মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল বলে মনে করা হত। আর সেই সূত্র ধরেই বিজেপিতে যোগ দিলেন সাংসদ।