This Article is From Oct 23, 2019

রাজ্যপালকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ইচ্ছুক নয় তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির

গত সপ্তাহে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিআরপিএফকে, রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেয়

রাজ্যপালকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ইচ্ছুক নয় তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির

৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জগদীপ ধনকড়।

কলকাতা:

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) সিআরপিএফ (CRPF) এর নিরাপত্তা দেওয়ায় রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) আপত্তি জানানোর বিরুদ্ধে তোপ দাগল রাজ্য বিজেপি, তাদের অভিযোগ, রাজ্যপালকে প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তা দিতে ইচ্ছুক ছিল না রাজ্য সরকার। গত সপ্তাহে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিআরপিএফকে, রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেয়, যা দেশজুড়েই প্রযোজ্য হবে। ২১ অক্টোবর. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকার জানতে চায়, রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফের হাতে তুলে দেওয়ার আগে আলোচনা করা হল না কেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, গতমাসে যেভাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়েছে, তাতেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।

রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফকে দেওয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আর্জি রাজ্যের

দিলীপ ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এর বিরোধিতা করছে। অথচ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের নিরাপত্তায় রেল আরপিএফ নিয়োগ করেছিলেন। পরে, তিনি যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন, তখনও কয়েকজন জওয়ান তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থেকে গিয়েছিলেন”। তাঁর কথায়, “এতে রাজ্য সরকারের যদি সমস্যা না থাকে, তাহলে রাজ্যপালকে যদি কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা দেয়, তাতে অসুবিধা কোথায়”।

আরেক বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, বাংলায় সন্ত্রাস সম্পর্কে গোটা দেশ জানে, এবং এখজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর নিরাপত্তায় রাজ্য সরকারের “ব্যর্থতা”ও সবার জানা।  তিনি বলেন, “১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেরকম কিছু যদি আবার হয়, তার দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেবে কি”?

মনে হচ্ছে বাংলায় কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর

সরকারের সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে “উদ্ধার” করতে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা তাঁর গাড়ি আটকানোর পর, রাজ্য সরকারকে, রাজ্যপালের নিরাপত্তা বাড়িয়ে জেড থেকে জেড প্লাস করতে বলা হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে কালো পতাকা দেখানো হয়, হেনস্থা, এবং এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে  বাবুল সুপ্রিয়কে যেতে বামঘনিষ্ঠ সংগঠনের তরফে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন : 

বিরোধী সিপিআইএম, এবং কংগ্রেসের বক্তব্য, রাজ্যপালের পদের মর্যাদা দেওয়া উচিত। প্রদেশ  কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে মতভেদ থাকতে পারে। তবে, পদকে সম্মান করা উচিত। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত”।

৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জগদীপ ধনকড়।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.