মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলীয় কর্মীদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান।
হাইলাইটস
- ১ জানুয়ারি রাজ্যের শাসক দলের প্রতিষ্ঠা দিবস
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলীয় কর্মীদের এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান
- তৃণমূল কংগ্রেস দিনটিকে ‘নাগরিক দিবস’ হিসেবে পালন করছে
নতুন বছরের প্রথম দিনটি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতিষ্ঠা দিবস (Foundation Day)। এবারের ১ জানুয়ারি রাজ্যের শাসক দলের ২২তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এবারের প্রতিষ্ঠা দিবসকে ‘নাগরিক দিবস' হিসেবে পালন করছে তারা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলীয় কর্মীদের এই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দিনটিকে ‘নাগরিক দিবস' হিসেবে পালন করছে। তিনি টুইট করে জানান, রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রে তাঁরা এবারের প্রতিষ্ঠা দিবসটি নাগরিক দিবস হিসেবে পালন করছেন। তিনি লেখেন, ‘‘আমরা সবাই নাগরিক এবং তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে। জয় হিন্দ। জয় বাংলা। তৃণমূল কংগ্রেস আজ ২২-এ পা দিল। ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি যে যাত্রা শুরু হয়েছিল অনেক বাধার মধ্যে। কিন্তু মানুষের জন্য লড়াইয়ে আমাদের সংকল্পে আমরা অটল ছিলাম। মা-মাটি-মানুষকে আমরা ধন্যবাদ জানাই তাদের লাগাতার সমর্থনের জন্য। আমাদের কর্মীরা আমাদের সবথেকে বড় সম্পদ।''
এনআরসি, সিএএ বিরোধিতায় এবার কলকাতার পথে পুরোহিতরা
গত সপ্তাহেই মমতা তাঁর দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন এই উপলক্ষ উদযাপনের বিষয়ে। তৃণমূলের জেলার নেতারা এদিন পতাকা উত্তোলন ও পথসভার আয়োজন করেন। সভায় দলের প্রাপ্তি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূল নেতানেত্রীরা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গোড়া থেকেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে লাগাতার এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ সময়ের বাগযুদ্ধের শেষে মুখোমুখি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপাল
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। সমালোচকদের দাবি, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।
১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি রাজ্যকে বাম শাসনের হাত থেকে মুক্ত করার ব্রত নিয়ে শুরু হয় তৃণমূল কংগ্রেসের যাত্রা। ২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বিধানসভায় ক্ষমতা দখল করে তারা। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)