This Article is From Sep 04, 2019

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সুবিধা করে দিতে এনআরসির বিরোধিতা করছে তৃণমূল: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে, তাদের দলীয় নেতা, কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে তিনদিন প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দাবি করেন, অর্জুন সিং এবং মুকুল রায়কে হত্যার চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

কলকাতা:

দিন কয়েক আগেই অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (NRC) চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এনআরসির তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) অভিযোগ করলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের (Rohingya) আশ্রয় দিয়ে তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার এবং বিজেপি কর্মীদের মারধর করার জন্যই এনআরসির বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।  রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত গেরুয়া শিবিরের এই পর্যবেক্ষক দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে তাঁদের দলে যোগ দেওয়া, অর্জুন সিং এবং মুকুল রায়কে হত্যার চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, “কেন, অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে করা এনআরসির বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তাঁর বিরোধিতার কারণ কী? কারণটা ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি। বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার”।

এনআরসি নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস

শ্যামবাজারের একটি সভায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, “তাদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, আবার রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের মারধর এবং হত্যা করা যায়”। এনআরসির মাধ্যমে নিজের দেশেই প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের উদ্বাস্তু বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, পাশাপাশি এএনআরসির বিরোধিতায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে জোড়াফুল শিবির।  

Advertisement

রবিবার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং-এর ওপর হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতা বলেন, “তাঁকে হত্যা করার ছক কষেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সতর্ক করে দিতে চাই যে, যদি অর্জুন সিংকে হত্যা করা হত, তাহলে তাঁর সরকার শেষ হয়ে যেত”।

NRC থেকে ১ লক্ষ গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ বাদ পড়ায় দুঃখিত, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Advertisement

এর আগে অর্জুন সিং দাবি করেন যে, তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের একটি জায়গায় “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ” করার সময়, তাঁর ওপর আঘাত করেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশমার মনোজ বার্মা, ফলে মাথায় ক্ষত সৃষ্টি হয় তাঁর। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, নিজের দলের কর্মীদের ইট ছোঁড়াছুঁড়িতেই আহত হয়েছেন অর্জুন সিং।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে, তাদের দলীয় নেতা, কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে তিনদিন প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের অভিযোগ, নিজেদের “রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ” করতে এবং বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement

কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “বিজেপি যেদিন ক্ষমতায় আসবে, সেদিন শুধুমাত্র আমাদের কথাই শুনতে হবে পুলিশকে”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement