This Article is From Jun 07, 2018

তৃণমূল মন্ত্রীদের পদ বদলের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

সম্প্রতি রাজ্যে যে উপ-নির্বাচন ও পঞ্চায়েত ভোট সম্পন্ন হয়েছে তার ফল দেখে এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে, কমলা রঙ পশ্চিমবঙ্গের অনেকটা অংশকেই গ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে

তৃণমূল মন্ত্রীদের পদ বদলের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে
সংগঠনের মধ্যে প্রবল প্রতিযোগিতা এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যে ভাবে বিরোধী শক্তি হিসাবে আত্ম প্রকাশ করছে তা দেখার পরে তৃণমূল পার্টি ঠিক করেছে যে, তাদের অভ্যন্তরে ফের বদলের যথেষ্ট প্রয়োজন আছে, 2019 -এ লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন একটা ফের বদল করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তৃণমূল দল মনে করছে।তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতারা এখনই কোনো রকম নাম স্পষ্ট করে ঘোষণা করতে নারাজ, রাজ্যের মন্ত্রিসভা এবং কিছু স্থানীয় সংস্থা গুলির সংশোধনের ব্যাপারে দল যে বদ্ধ পরিকর সে বিষয়ে একটা আঁচ পাওয়া গেছে ।  

অন্যদিকে বিজেপি রাজ্যে নিজেদের পা জমানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, কারণ সেখানে 42 টি লোকসভা আসন বিদ্যমান।বর্তমানে রাজ্যের মাত্র দুটি আসন তার হাতে আছে। সম্প্রতি রাজ্যে যে উপ-নির্বাচন ও পঞ্চায়েত ভোট সম্পন্ন হয়েছে তার ফলাফল দেখে এটুকু বোঝা যাচ্ছে যে, কমলা রঙ পশ্চিমবঙ্গের অনেকটা অংশকেই গ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে।অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জাতীয় স্তরে অবতীর্ণ হয়ে বিজেপির সাথে টক্কর দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, দলটির একটি দ্বিপক্ষীয় কৌশল রয়েছে, যে সমস্ত মন্ত্রীদের হাতে 'অতিরিক্ত ভার' আছে তাদের দায়িত্ব খানিকটা কম করে দেওয়া, যারা জেলা সভাপতি ও রাজ্য মন্ত্রীর পদ  ধারণ করে আছে, হয়তো তাদের যেকোনো একটির ভার দেওয়া হবে, যদিও এমন কিছু নেতাদের জন্য ব্যতিক্রম হতে পারে যাদের রেকর্ড ভালো।

তিনজন মন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দিয়ে দলের কাজকর্মে মন দিতে বললেন মমতা

কিছুদিন আগেই মন্ত্রীসভা থেকে তিনজন মন্ত্রীকে অপসারণ করা হয়েছে, যে তিনজন অপসারিত হয়েছেন, তাঁরা হলেন — ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার মিনিস্টার চূড়ামণি মাহাতো, ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টার জেমস কুজুর এবং অবনী জোয়ারদার, যার কোনও দফতর ছিল না।

"কিছু জেলায় বিশেষ করে জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি ভালো নয়। যদিও আমরা সর্বাধিক সংখ্যক জেলা পরিষদের আসন জিতেছি, তবুও আমরা এমন কিছু আসন হারিয়েছি যা উচিত ছিল না।" বলেছেন তৃণমূলের এক বরিষ্ঠ নেতা। মালদা,পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলাগুলিতে, বিজেপি অবিচলিত হয়ে উঠেছে, তৃণমূলের একজন বরিষ্ঠ নেতা বলেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা এই বিষয়ে "ভালভাবে জানায়নি"।তবে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া দেখে একটা কথা বোঝা যাচ্ছে যে মমতা ব্যানার্জি সেখানে নিজের নীতির আলো জ্বালানোর চেষ্টা করছেন।

(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.