This Article is From Feb 07, 2019

‘সংবিধান বাঁচাতে’ আজ- কাল জেলায় জেলায় আন্দোলনে তৃণমূল

ধর্মতলায় ধর্না শেষ করার সময়ই তৃণমূলনেত্রী বলে  দিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে  আন্দোলন এবার  ক্রমশ ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

‘সংবিধান বাঁচাতে’ আজ- কাল জেলায় জেলায় আন্দোলনে তৃণমূল

বিরোধীরা যাই বলুক তৃণমূলকে নিশানা  করেই চলেছে বিজেপি।

কলকাতা:

 ধর্মতলায় ধর্না শেষ করার সময়ই তৃণমূলনেত্রী বলে  দিয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে  আন্দোলন এবার  ক্রমশ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ধর্নার আগে আজ থেকে জেলায় জেলায় আন্দোলন করছে  তৃণমূল। প্রতিটি জেলা কার্যালয়ে এই কর্মসূচি  নেওয়া হয়েছে। দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার এই  কর্মসূচি পালিত হবে। সেই মতো আজ  সকাল থেকেই শুরু হয়েছে  প্রতিবাদ সমাবেশ। পার্থ আগেই জানিয়েছেন  সংবিধান রক্ষার এই লড়াইতে দলের বাইরের কেউও আসতে পারেন। আর দলীয় পতাকা থাকবে  কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন জেলার নেতারা। সুপ্রিম  কোর্ট জানিয়েছে এখনই গ্রেফতার করা  যাবে না রাজীব কুমারকে। এরপরই ধর্না প্রত্যাহার  করে নেন। গোটা পর্বটিকে  প্রথম থেকেই  সংবিধানের উপর আঘাত বলে মনে করছেন তৃণমূলনেত্রী। তাই ধর্না নয় নিজের কর্মসূচিকে  সত্যাগ্রহ বলেছেন মমতা। তাঁকে সমর্থন দেওয়া বিরোধী দলগুলিও বিষয়টিকে সংবিধানের উপর আঘাত হিসেবেই দেখছে। আর তাই  দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি আয়োজিত হচ্ছে।

কোনও মহিলা কুমারী কিনা তা জানতে পরীক্ষা করলে শাস্তি হবে দেশের এই রাজ্যে

বিরোধীরা যাই বলুক তৃণমূলকে নিশানা  করেছে বিজেপি। রাজ্যে এসে  উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, মমতা অপরাধীকে বাঁচাচ্ছেন। আর সুপ্রিম  কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন সুপ্রিম কোর্টের এমন বক্তব্য শুনে  শুধু মমতাই খুশি হতে পারেন।  শুধুমাত্র তিনিই  এটাকে নৈতিক  জয়  হিসেবে  দেখতে পারেন।   সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে  মোদী  মন্ত্রিসভার  এই সদস্য বলেন  পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে ।   সেটা মাথায় রেখেই নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।   আর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী  সিবিআইয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে কলকাতার কমিশনারকে। আক্রমণ শানান বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। তিনি বলেন,  তিনি বলেন এ রায়ের পর নাটক শেষ করে মমতাকে ঢোক গিলতে হল।  আমরা আগেই বলেছি দেশের সংবিধান রক্ষা করা আমাদের কাজ।  আর আমরা সেটা করবো।  এই রায় থেকে মমতার  আসল চেহারা প্রকাশ্যে চলে এলো। আদতে এই রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুখে এক বিরাট বড় থাপ্পড়।  একই সঙ্গে রাজনীতির  যে পন্থা মমতা  নিয়েছিলেন তাও ধাক্কা খেয়েছে। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.