This Article is From Aug 03, 2018

আগামী দু'দিন পশ্চিমবঙ্গে কালা দিবস পালিত হবে : পার্থ চট্টোপাধ্যায়

শিলচরে আটকের প্রতিবাদে আগামী কাল ও রবিবার দু'দিন 'কালো দিবস' পালন করবে TMC,

আগামী দু'দিন পশ্চিমবঙ্গে  কালা দিবস পালিত হবে : পার্থ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা:

দলের নেতাদের শিলচর বিমান বন্দরে আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে  আগামী কাল ও রবিবার কালা দিবস পালনের ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার  এই খবর  জানিয়েছন।  রাজ্যের সমস্ত জায়গায় এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চায় দল। আর এভাবেই ফের একবার বিজেপির বিরোধিতায় সরব হবে শাসক তৃণমূল। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল। এবার ফের পথে নামছে ঘাসফুল শিবির।এর আগে আজ সকালে এই ইস্যুতেই সংসদে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। ঘটনার পর  তৃণমূলের তরফে দাবি, দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। 

মহাসচিব এদিন সাংবাদিকদের  বলেছেন,  ‘প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলেন। তাছাড়া  জনপ্রতিনিধিদের সমস্ত জায়গায় যাওয়ার অধিকারও আছে। তবু লজ্জাজনক ভাবে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছ, হেনস্থাও করা হয়েছে। আমরা তাঁর প্রতিবাদ করি। আর তাই প্রতিটি ব্লকেই কালা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’  প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা যদি মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতাম তাহলে সমস্যাটা  ঠিক কোথায় সেটা বুঝতে পারতাম।  আর সেই মতো কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শও দিতে পারতাম। কিন্ত এখন আর সেই সুযোগ রইল না।’  

   নাগরিকদের তালিকা থেকে অসমের 40  লাখ বাসিন্দার নাম বাদ যাওয়ার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব  তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অসমে যান দলের আট  জনপ্রতিনিধি।  কিন্তু তাঁদের শিলচর বিমান বন্দরেই  আটকে দেওয়া হয়। একরাত সেখানে  থাকার পর কলকাতায়  ফিরতে শুরু করেছেন নেতারা। সকালেই এসে পৌঁছেছেন ছ’জন। শহরে পৌঁছেই  অসম প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। অভিযোগ তাঁদের সঙ্গে  অনুপ্রবেশকারীদের মতো ব্যবহার করা হয়েছে । পরিস্থিতি দেখে কারও কারও মনে হয়েছে দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। তবে প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে অমস প্রশাসন। তাদের দাবি পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করেই নেতাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।  সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও।                

কলকাতায় ফিরে  রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, আমাদের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। অকারণে ধাক্কা দিয়েছে পুলিশ। হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে মহিলা সাংসদদেরও। ছ’জন সাংসদ, একজন মন্ত্রী ও একজন বিধায়কের সঙ্গে এরকম আচরণ করা হল কোন যুক্তিতে? আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিত নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছে অমস প্রশাসন।  সুখেন্দশেখরের দাবি সেই নির্দেশিকা তাঁরা অমান্য করেননি। তবু তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।

 

 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.