কলকাতা: বনগাঁ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা অঙ্ক বদলে দিতে চাইছেন, বলার চেষ্টা করছেন, “১১-এর থেকে বড় ১০”-বনগাঁ পুরসভা নিয়ে শুনানিতে সোমবার এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২২ সদস্যের বনগাঁ পুরসভায় বিজেপির কাউন্সিলরের সংখ্যা ১১, তাঁদের আস্থা ভোটে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি কাউন্সিলররা। ১৬ জুলাই ভোটের পর, নির্বাচনী আধিকারিক, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাসক এবং মহকুমা শাসককে জানান, ১০-০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের চেয়ারম্যান। শুনানির সময় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “আমায় বিশ্বাস করতে হবে, ১০ সংখ্যাগরিষ্ঠ, যখন ১১জন আপনার বিরুদ্ধে ? অঙ্ক বদলে যাবে”। বিচারপতি আরও বলেন, “তাঁদের যু্ক্তি অনুযায়ী, ১১-এর থেকে ১০ বড়”।
২২ সদস্যের বনগাঁ পুরসভায় বিজেপির কাউন্সিলরের সংখ্যা ১১, তৃণমূলের ১০ জন এবং একজন সিপিআইএম কাউন্সিলর রয়েছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত করে দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এর আগে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানান, তাঁদের মধ্যে যে কোনও তিনজন অনাস্থা আনতে পারেন। এরপরেই অনাস্থা আনা হয় এবং ১৬ জুলাই বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট হয়।
আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় বনগাঁয়। বোমাবাজি এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। পুলিশ এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে, তাঁদের ভোট দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১১১ জন বিজেপি কাউন্সিলর। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের আনুগত্যেই তাঁদের বাধা দিয়ে আদালত অবমনাননা করা হয়েছে।
তাঁদের দাবি, ১১ জনের সাক্ষর করিয়ে তাঁরা একটি প্রস্তাব নিয়েছেন, সেখানে চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের প্রতি “অনাস্থা” এনেছেন তাঁরা। বিজেপির আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী আদালতে বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলররা একটি আলাদা প্রস্তাবে চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থা এনেছেন। এটিকে অবৈধ বলেও দাবি করেন তিনি। অশোক চক্রবর্তীর যুক্তি, একটি প্রস্তাবে টালমাটাল অবস্থায় ভোটাভুটির জন্য, আরেকটি প্রস্তাব আনা যায় না, এটিকে সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে দাবি করে চিনি বলেন, এঠা বিচারাধীন। তাঁর আরও যুক্তি, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার যে রিপোর্ট জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসককে নির্বাচনী আধিকারিক দিয়েছেন, সেটি আইনত ভুয়ো।
তৃণমূলের আইনজীবী পার্থ সেনগুপ্ত বলেন, আবেদনকারীদের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে টেকনিক্যালি ত্রুটি রয়েছে। তাঁর দাবি, ১৬ জুলাই বিজেপি কাউন্সিলররা যে বৈঠক করেছেন, তা আইনের চোখে বৈধ নয়, কারণ, যেহেতু প্রস্তাবটি নির্বাচনী আধিকারিকের সামনে পাশ করানো হয়নি, শুধুমাত্র সাক্ষর করা প্রস্তাবটি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।
দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ে পর্যবেক্ষণ, কীভাবে আদালতের নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছিল, তা বুঝতে পারছেন। আইন লঙ্ঘন করা হয়েছিল, তা পরিষ্কার বুঝতে পারছেন বলে জানান বিচারপতি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)