গনেশ ভুঁইঞ্যার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।(ফাইল ছবি)
মেদিনীপুর: তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার মাঠের পাশে রাস্তার ধারে তৃণমূলকর্মী গনেশ ভুঁইঞ্যার দেহ উদ্ধার হয়। এক অপরিচিত ব্যক্তির ফোন পাওয়ার পর বাইরে যান তিনি। গনেশ ভুঁইঞ্যার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে, এবং খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি করা যাবে। ২৪ ঘন্টা আগেই ঝাড়গ্রামে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী, তারপর আবার পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনা। গনেশ ভুঁইঞ্যাকে বিজেপির কর্মীরাই খুন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল, গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী।
স্টেশনেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেত্রীর স্বামী, চাঞ্চল্য এলাকায়, চুঁচুড়ায় বনধ ডাকল তৃণমূল
গনেশ ভুঁইঞ্যার মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, গণতান্ত্রিক পথেই বিজেপির সন্ত্রাসের মোকাবিলা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, “মানুষ বুঝতে পেরেছে, সিপিআইএমের হার্মাদরাই দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভোট দেওযার পর, বিজেপির উথ্থানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ”।
বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাসের দাবি, ছোটো বাচ্চারাও এখন জানে, প্রতিবেশী দুই তৃণমূল পরিবারের মধ্যে কাটমানির ভাগ নিয়ে গণ্ডগোল এবং তার জেরেই এই মৃত্যু। তাঁর কথায়, “ভুইঁঞ্যার মৃত্যুতে আমাদের দোষারোপ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস”।
ঝাড়গ্রামে এক ব্যক্তিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি
এর আগে ঝাড়গ্রামের জামবনির বগুয়া গ্রামে এক তৃণমূলকর্মীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্করেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। তার আগে হুগলির ব্যান্ডেলে তৃণমূল কর্মী, রেলে চাকরিরত এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়। দুটি ঘটনাতেই একে অপরের বিরুদ্ধে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ভাল ফল করেছে বিজেপি। ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে পাপড়ি মেলেছে পদ্মফুল। অন্যদিকে, জোড়াফুল ফুটেছে ২২টি আসনে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২টি আসন এবং ৩৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।