This Article is From Jul 23, 2019

রাজ্যে তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৬

আরামবাগের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের দাবি, নিজেদের দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই মৃত্যু হয়েছে লালচাঁদ বাগের।

রাজ্যে তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৬

ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরামবাগ:

হুগলির আরামবাগে এক তৃণমূলকর্মীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছ বলে জানাল পুলিশ। ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশে যাওয়ায়, বিজেপির বিরুদ্ধে, দলীয় কর্মী লালচাঁদ বাগকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন হুগলির গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের নকুন্দা গ্রামের বাসিন্দা বছর চল্লিশের লালচাঁদ বাগ। সেই সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

২১ জুলাইয়ের সভায় যাওয়ার ‘শাস্তি', তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মারায় অভিযুক্ত বিজেপি

জেলা পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, “২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন লালচাঁদ বাগের বাবা, এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে”।

যদিও আরামবাগের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের দাবি, নিজেদের দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই মৃত্যু হয়েছে লালচাঁদ বাগের।

অভিযোগ, লালচাঁদ বাগের বাড়ির কাছেই তাঁর উপরে হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা নারায়ণচন্দ্র পাঁজার অভিযোগ, ২১ জুলাই রাতে লালচাঁদের বাড়িতে বোমা ছোড়ে বিজেপি সমর্থকরা। লালচাঁদ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে গিয়েছিল, এই কারণেই ওই হামলা চালানো হয়। পরে সোমবার রাত দশটা নাগাদ তাঁকে পিটিয়ে খুন করে সিপি(আই)এম থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কয়েকজন ব্যক্তি।

জানা যাচ্ছে, সোমবার রাত দশটা নাগাদ ওই দুষ্কৃতীরা নির্মম ভাবে প্রহার করে লালচাঁদকে। তারপর তাঁকে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির বাইরে ফেলে চলে যায়।

বিচারের দাবিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারে রাজ্যে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবার

নারায়ণচন্দ্র দাবি করেন, ‘‘লালচাঁদ অল্প কিছু কথা বলতে পেরেছিল। ও একজনের নামও নিয়েছিল। তার নাম বিশ্বজিৎ মালিক। আগে সিপি(আই)এম করত, এখন বিজেপির হিরো।''

বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। জেলা নেতা বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘এই খুন তৃণমূ‌লের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। ওদের অভ্যাসই বিজেপিকে দায়ী করা। আমরা এই মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চাই।''

এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল গতবারের থেকে অনেকগুলি আসন কম পেয়েছে। ৩৪ থেকে তারা নেমে এসেছে ২২-এ। অন্যদিকে বিজেপি ২ থেকে উঠে এসেছে ১৮-এ। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে নানা প্রতিহিংসামূলক ঘটনা ঘটছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.