This Article is From Dec 31, 2019

আপকে খোঁচা বিজেপির, পাল্টা সরস জবাব আপের

২,০০০ অবৈধ কলোনিকে বৈধতা দেওয়ার এক আইন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, মোদি সরকার যেটা তিন মাসে করেছে, আপ সেটা পাঁচ বছরেও করতে পারেনি।

আপকে খোঁচা বিজেপির, পাল্টা সরস জবাব আপের

বিজেপির খোঁচায় পাল্টা জবাব ফিরিয়ে দিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।

নয়াদিল্লি:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টি তথা আপ-কে (AAP) কটাক্ষ করে টুইট করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। সেই খোঁচার দুরন্ত সরস পাল্টা জবাব দিল আপ। দিল্লির প্রায় ২,০০০ অবৈধ কলোনিকে বৈধতা দেওয়ার এক আইন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, মোদি সরকার যেটা তিন মাসে করেছে, আপ সেটা পাঁচ বছরেও করতে পারেনি। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‘আপনারা (আম আদমি পার্টি) সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারবেন না।'' উত্তরে আপ জানায়, ‘‘একমত। এটাই তো আপনাদের দক্ষতার ক্ষেত্র।''

গত মাসে কেন্দ্র একটি বিল পাস করে, যেখানে দিল্লির ১,৭৩১টি অবৈধ কলোনির বাসিন্দাকে বসবাসের অধিকার দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে যেখানে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ অনুপ্রবেশকারী, যাঁরা ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে সমর্থন করেছিলেন তাঁরা লাভবান হবেন। আগামী নির্বাচনে এটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে।

পরপর করা টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, আপ এই ইস্যু নিয়ে সংশয় তৈরির চেষ্টা করছে। তিনি জানিয়ে দেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওখান‌কার মানুষরা ফাইনাল রেজিস্ট্রি পেতে শুরু করবেন। তিনি জানান, ৩৫,০০০-এরও বেশি মানুষ এরই মধ্যে ফর্ম পূরণ করেছেন।

তিনি এও  দাবি করেন, আপ এই ১,৭৩১টি কলোনির ম্যাপ তৈরির চেষ্টা করেও ৫ বছরে তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার তা তিন মাসে উপগ্রহের সাহায্যে সম্পন্ন করেছে।

গত সপ্তাহে কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, ১০০ জন সম্পত্তির মালিকরা রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র পেয়ে যাবেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে। বাকিরা তারপর পেয়ে যাবেন। কিন্তু এখন তাঁরা বলছেন রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ছ'মাস পর।''

মণীশ সিসোদিয়া এদিন সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর টুইটের উল্লেখ করে জানান, বিজেপির দাবি ছিল ১০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে।

উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির মিথ্যে ধরা পড়ে গিয়েছে। 

(তথ্যসূত্র: পিটিআই)

.