কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হানার দায় নিয়েছে জইশ(Jaish-E- Mohammad)
হাইলাইটস
- ভারত ছাড়াও মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করতে চায় আরও তিনটি দেশ
- রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েও দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স
- কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হানার দায় নিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ
রাষ্ট্রসংঘ: জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদের (Jaish-E- Mohammad) প্রধান মাসুদ আজাহারকে (Masood Azahar) গ্লোবাল টেররিস্ট (Global Terrorist) ঘোষণা করতে চায় আমেরিকা থেকে শুরু করে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মতো দেশ গুলি। রাষ্ট্রসঙ্ঘে (UN) নিজেদের বক্তব্য জানিয়েও দিয়েছে তারা। আদতে চিন একেবারে শেষ মুহূর্তে ভেটো না দিলে মাসুদকে এতদিনে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করে দিত রাষ্ট্রসঙ্ঘ। চিনের পদক্ষেপের দু'সপ্তাহের মধ্যে নতুন কৌশল নিল আমেরিকা। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে (Security Council) একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিল আমেরিকা। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে মাসুদকে সমস্যায় পড়তে হবে। বাজেয়াপ্ত হবে তার সম্পত্তি। এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে ব্রিটেন থেকে শুরু করে ফ্রান্সের মতো দেশ। ফ্রান্স অবশ্য আগেই নিজের দেশে মাসুদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করে।
"নেহরু, পটেলের আদর্শে অনুপ্রাণিত আমার পরিবার", কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বললেন উর্মিলা
কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হানার দায় নিয়েছে জইশ। মাসুদ(Masood Azhar) অবশ্য এই ঘটনার অনেক আগে থেকেই ভারতকে রক্তাক্ত করে চলেছে। কান্দাহার কাণ্ডে মুক্তি পাওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে ২০০১ সালে দেশের সংসদ ভবনে হামলা, ২০০৮ সালের মুম্বই হানা থেকে শুরু করে পাঠানকোট- নানা ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে এই জঙ্গি নেতার নাম। তালিকার শেষ সংযোজন পুলওয়ামা। দিল্লি বরাবর চেয়েছে মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করে দেওয়া হোক। আমেরিকা ব্রিটেন এবং ফ্রান্সও একই দাবি তোলে। নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে তারা নিজেদের বক্তব্য জানায়, কিন্তু বেজিং বাধা দেয়। বেশ কিছুটা সময় চুপ করে বসে থাকার পর চিন জানায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কমিটির কাছে পাঠান সেই নোট ভেটো হিসেবে কাজ করে। মানে চিনের বাধায় মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করা গেল না। পরে অবশ্য চিন বলে মাসুদের ব্যাপারে ভারতের উদ্বেগ তারা বোঝে। সেই মতো পদক্ষেপও নেওয়া হবে। তার আগেই এবার পদক্ষেপ করল আমেরিকা। ফ্রান্স অবশ্য কিছুদিন আগেই সেই কাজ সেরে রেখেছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যাতে মাসুদকে জঙ্গি তকমা দেয় সেই কাজও চালাচ্ছে ফ্রান্স।